হৃদয় লড়াই করেও জেতাতে পারলেন না এইচপিকে
চট্টগ্রামে আগে ব্যাট করে বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত ৫০ ওভারের খেলা শেষ করতে পারেনি ‘এ’ দল। ৪৪ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে অধিনায়ক মুমিনুল হকদের ইনিংস থামে ২২২ রানে। পরে বৃষ্টি আইনে জয়ের জন্য ৩৩ ওভারে হাইপারফম্যান্স ইউনিটের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৯৪ রানের। টার্গেট টপকাতে নেমে ব্যর্থ এইচপির ব্যাটসম্যানরা। ব্যাট হাতে একাই লড়লেন অধিনায়ক তৌহিদ হৃদয়। ৭৯ বলে ৯৩ রানের অনবদ্য এক ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন তিনি। তবে জেতাতে পারেননি দলকে। ৪ রানে ‘এ’ দলের কাছে হারে এইচপি।
টস জিতে ব্যাটিং করতে নামে ‘এ’ দল। উদ্বোধনি জুটিতে ৬৭ রান জমা করেন দুই ওপেনার মুমিনুল ও সাদমান ইসলাম। মুমিনুল আউট হন ২৭ রান করে। সাদমানের ব্যাট থেকেন আসে ৪৭ রান। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস খেলেন ৩৯ বলে ৩৭ রানের ইনিংস। ইয়াসির আলী রাব্বি ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ২০ রানের গণ্ডি পার করতে পারেননি। এতে স্কোর বোর্ডে ১৮৩ তুলতেই ৯ উইকেট হারিয়ে বসে ‘এ’ দল।
বিজ্ঞাপন
শেষদিকে রাকিবুল হাসানের অপরাজিত ১২ ও খালেদ আহমেদের ২৫ রানের ইনিংসের কল্যাণে ৪৪ ওভার শেষে ২২২ রানের পুঁজি পায় মুমিনুল হকের দল। এইচপির হয়ে ৩০ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন হাসান মুরাদ। ২ উইকেট পান রেজাউর রহমান রাজা।
পরে বৃষ্টি আইনে জয়ের জন্য ৩৩ ওভারে হাইপরফম্যান্স ইউনিটের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৯৪ রানের। এই টার্গেট টপকাতে নেমে টপ অর্ডারের ব্যাটিং ব্যর্থতায় দ্রুত ক্রিজে আসেন তৌহিদ হৃদয়। তবে সঙ্গীর অভাবে নিজেকে গুটিয়ে রেখেছিলেন। তাকে সঙ্গ দিতে পারছিলেন না কেউ। মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরাও ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। ৬৫ রান তুলতেই এইচপি ৭ উইকেট হারিয়ে বসে। এরপর হাত খুলে খেলতে শুরু করেন হৃদয়। তাকে সঙ্গ দেন রেজাউর রহমান।
বিজ্ঞাপন
অষ্টম উইকেটে রেজাউরকে নিয়ে ১০১ রানের পার্টনারশিপ গড়েন তৌহিদ হৃদয়। এক ফাকে ৫৪ বলে তুলে নেন ফিফটি। ল্যান্ডমার্কে পৌঁছার পর আক্রমণ বাড়ান। এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিল এইচপি দলকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে দেবেন তিনি। তবে রাকিবুল ইসলামের বলে রেজাউর ৩৩ রান করে বিদায় নিলে বিপত্তি তৈরি হয়। শেষ পর্যন্ত আর দলকে জেতাতে পারেননি তৌহিদ হৃদয়। ৯৩ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। ৭৯ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় সাজান তার ঝড়ো ইনিংসটি।
নির্ধারিত ৩৩ ওভার শেষে ৮ উইকেটে ১৮৯ রানে থেমে এইচপি ইউনিটের ইনিংস, এতে হারতে হয় ৪ রানের ব্যবধানে। ‘এ’ দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ টি করে উইকেট মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও রাকিবুল হাসানের। এই জয়ে ৪ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ ১ ম্যাচ হাতে রেখেই ৩-০ ব্যবধানে জিতে নিল ‘এ’ দল। আগামী ৪ অক্টোবর চতুর্থ ও শেষ ওয়ানডে মাঠে গড়াবে।
টিআইএস