ক্রিকেটারদের ফেসবুক ব্যবহার, কী ভাবছে বোর্ড
বর্তমান প্রেক্ষাপটে অনলাইন সংবাদমাধ্যমের ভিড়ে সামাজিক মাধ্যমে ক্রিকেটের খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। গুজব-গুঞ্জন ডালপালা মেলে ভুল মেলে হরহামেশা। বিশেষত ফেসবুকে কোনো খবর হলে জাতীয় দলের অনেক ক্রিকেটারই বলেছেন, ‘কই ফেসবুকে তো দেখলাম না৷’ বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সদস্যদের ফেসবুকের প্রতি আসক্তির খবর নতুন কিছু নয়।
কিছুদিন আগে সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় বর্তমান প্রেক্ষাপটে, যেকোনো টুর্নামেন্টের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সব খেলোয়াড়ের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ করা উচিত।’ কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘণ্টি বাঁধবে কে? এনিয়ে আজ (শনিবার) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানালেন, তিনি সেভাবে চিন্তা করেন না।
বিজ্ঞাপন
পাপন বললেন, ‘আমি ওই লাইনে চিন্তা করি না। আমি বরং চিন্তা করছি কিভাবে খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ দেয়া যায়। যে ওরা যেন খেলা চলাকালীন সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে সতর্ক থাকে। খেলা চলাকালীন শুধু খেলায় মনোযোগী থাকে সেটা চিন্তা করছি।’
মূলত বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুণ্ডুপাত করা হচ্ছে ক্রিকেটারদের। পাপন মনে করছেন এতে বাড়তি চাপ পড়ছে খেলোয়াড়দের উপর। জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের অতীত পারফরম্যান্স মূল্যায়নে এনে এসব থেকে সমর্থকদের বিরত থাকার আহ্বান পাপনের। এজন্য পাকিস্তান আর বাবর আজমের উদাহরণ তুলে ধরলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
পাপনের ব্যাখ্যা, ‘একটা সিরিজের জন্য ওদের নিয়ে যা বলা হয় এটা কি ঠিক? অকল্পনীয়। আমার বিশ্বাসই হয় না। এই যে বাবর আজম, বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটার, আমাদের দেশে রান করেছে? তাই বলে ওর বিরুদ্ধে এরকম লেখা হয়? কেন আমাদের খেলোয়াড়দের বেলায় এমন হয়? এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এটা কিন্তু মিডিয়া করে না। সোশ্যাল মিডিয়া। খেলোয়াড়দের জন্য এটা বিরাট চাপ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এটা থেকে বের হতে হবে।’
সঙ্গে যোগ করেন পাপন, ‘খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে বলার কোনো প্রশ্নই আসে না। যারা না বুঝে বলে সেটা এক জিনিস। কিছু লোক আছে সব জানে। তারপরও টিভিতে টকশোতে যখন বলে, জেনেশুনে, দেশের বিরুদ্ধে বলে।’
টিআইএস/এনইউ