ওয়ানডের দুঃস্বপ্ন টেস্টে ফেরাতে চান না লিটন
ছবি : সংগৃহীত
প্রায় সাড়ে ১০ মাস ক্রিকেটে ফিরে প্রত্যাবর্তন রাঙিয়েছে বাংলাদেশ দল। তবে জ্বলেনি লিটন দাসের ব্যাট। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচেই ব্যর্থ ছিলেন তিনি। ১৪, ২২ ও ০ মিলিয়ে তিন ম্যাচে সর্বসাকুল্য ৩৬ রান এসেছে লিটনের ব্যাট থেকে। ওয়ানডের পর টেস্ট দলের স্কোয়াডেও আছেন তিনি। সাদা পোশাকের ক্রিকেট নিয়ে ভিন্ন ভাবনা এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানের। ওয়ানডের হতশ্রী পারফরম্যান্সের স্মৃতি টেস্টে টেনে আনতে চান না লিটন।
শনিবার এক ভিডিও বার্তায় লিটন বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেট তো একেবারেই অন্য রকম একটা জিনিস। অনুভূতিই অন্য রকম দেশের হয়ে টেস্ট খেলার। ওয়ানডেতে আমি ভালো করতে পারিনি, কিন্তু এটা সম্পূর্ণ আলাদা ফরম্যাট। আমি চাচ্ছি না সেই বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করতে। এখানে আমার নতুন দায়িত্ব, চেষ্টা করব এখানে যে দায়িত্ব, সেটা ভালো করে পালন করার জন্য।’
বিজ্ঞাপন
ওয়ানডে সিরিজ শেষ হয়েছে গত ২৫ জানুয়ারি। এরপর ৩ ফেব্রুয়ারি প্রথম টেস্টে মাঠে নামবে বাংলাদেশ-উইন্ডিজ। মাঝে আট দিনের বিরতি। এই বিরতি কাজে লাগাতে চান লিটন। ওয়ানডে সিরিজে করা ভুলগুলো নিয়ে কাজ করছেন তিনি। সঙ্গে দীর্ঘদিন পর অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে টেস্ট দলে ফেরায় ইতিবাচক দিক দেখছেন লিটন।
তিনি বলেন, ‘ওয়ানডের পর ৭-৮ দিনের একটা বিরতির মধ্যে আছি। যেখানে আমরা অনুশীলন করার চেষ্টা করছি। নিজের সর্বোচ্চ দেওয়ার চেষ্টার কারণ, অনেক দিন পর লাল বলের খেলা। সাকিব ভাইকে নিয়ে যে কথাটা বললেন, উনি একটা বড় দায়িত্ব পালন করে সব সময় ম্যাচের মধ্যে। উনি থাকলে আমাদের ব্যাটিং ও বোলিং, দুই দিক দিয়েই সাহায্য হয়। আমরা সবাই আগ্রহী ভালো ক্রিকেট খেলার জন্য এবং যথেষ্ট পরিমাণ ক্ষুধা আছে প্রত্যেকটা প্লেয়ারের মধ্যে।’
বিজ্ঞাপন
এদিকে মূল ম্যাচে মাঠে নামার আগে তিনদিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে নেমেছে উইন্ডিজ। সেখানে বিসিবি একাদশকে কোণঠাসা করে ব্যাট-বলে নিজেদের ভালোভাবেই ঝালিয়ে নিচ্ছে ক্যারিবীয়রা। দীর্ঘদিন পর টেস্ট খেলতে নামা বাংলাদেশ দলের সামনে যে কঠিন পরীক্ষা, সেটিও মনে করিয়ে দিলেন লিটন।
সেই ভিডিও বার্তায় উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান বলেন, ‘আমার কাছে যেটা মনে হয় টেস্টে ক্রিকেটে অনেক দিন পর খেলতে নামছি আমরা। অবশ্যই কঠিন হবে। ওদের খুব ভালো পেস অ্যাটাক আছে এবং স্পিনও আছে। পরিস্থিতিতে বিবেচনা করে অনেক কিছুর ওপরে। আমার কাছে যে জিনিসগুলো মনে হয়, আমাদের ভালো ক্রিকেট খেলতে হলে, ভালো পারফরম্যান্স করার জন্য অনেক সময় উইকেটে ব্যয় করতে হবে। সঙ্গে অবস্থাগুলোও আমাদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সেটা বোলিং পাই, ব্যাটিং পাই, বড় বড় পার্টনারশিপ, বোলিংয়ে পার্টনারশিপ, ব্যাটিংয়ে পার্টনারশিপ হলে জিনিসগুলো আমাদের পক্ষে আসবে।’
টিআইএস/এটি/এমএইচ