নিউজিল্যান্ডে একে অন্যের ‘চেহারা’ দেখে মন ভালো করছেন শরিফুলরা
এযাবৎ নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে তিন ফরম্যাটে খেলা কোন ম্যাচই জিততে পারেনি বাংলাদেশ দল। সঙ্গে ২০১৯ সালের ক্রাইস্টচার্চ হামলা মন ভারি করে লাল-সবুজের ক্রিকেটকে। এবার কিউই সফরে গিয়ে কোয়ারেন্টাইন জটিলতায় পড়েছে মুমিনুল হকের দল। দীর্ঘদিন ঘরবন্দি ক্রিকেটাররা। সুযোগ মিলছে না অনুশীলন, শরীরচর্চার। বিষণ্ন শরিফুল ইসলামরা মন ভালো করছেন দিনে এক-দুবার সতীর্থদের মুখ দেখে আর কথা বলার সুযোগ পেয়ে।
নিউজিল্যান্ড থেকে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় তরুণ পেসার শরিফুল বললেন, ‘আমরা আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। আমাদের দুইটা গ্রুপ করে দিয়েছে। তো আমরা প্রতিদিনই সময় করে নিচে এসে দুই-তিনবার দেখা করতে পারি। সামাজিক দূরত্ব মেনে কথা বলতে পারি। তখন ভালো লাগে একজন আরেকজনের চেহারা দেখলে। তো এবার ভালোকিছু আশার জন্য প্রত্যাশা করছি সবাই, তো ইনশাআল্লাহ্ এবার করে দেখাব ইনশাআল্লাহ্।’
বিজ্ঞাপন
গত ৮ ডিসেম্বর নিউজিল্যান্ড সফরের উদ্দেশে দেশ ছাড়ে বাংলাদেশ দল। গত বছর ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন করলেও এবার বিসিবির বিশেষ সুপারিশে ৭ দিনে নিয়ে কোয়ারেন্টাইমের অনুমতি দেয় নিউজিল্যান্ড স্বাস্থ্য বিভাগ। কিন্তু বিমানে একজন করোনা আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে থাকায় টিম ম্যানেজমেন্ট ও ক্রিকেটার সহ ৯ জনকে ১০ দিনের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়।
তবে গত বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) দলটির বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার কোয়ারেন্টাইন থেকে মুক্ত হয়ে অনুশীলন নামেন। কিন্তু এরপর আবার শুনতো হলো দুঃসংবাদ। আপাতত ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবার বন্দি জীবন কাটাতে হবে তাদের। হাতে উঠেছে নিউজল্যান্ড স্বাস্থ্যকর বিভাগের দেওয়া ‘হলুদ’ ব্যান্ড। অনুশীলনে নামতে না পারলেও সামাজিক দূরত্ব মেনে নির্দিষ্ট কিছু সময়ে সতীর্থদের সঙ্গে দেখা করতে পারছেন সবাই।
বিজ্ঞাপন
শরিফুল বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ্ আমাদের অনেক ভালো লাগছে। আজ (রোববার) আমাদের একটি কোভিড টেস্ট নিয়েছে। এটা যদি আমাদের নেগেটিভ আসে তাহলে আগামীকালের পরের দিন (পরশু) আমরা অনুশীলনে যাব। এটা নিয়ে সবার মধ্যেই রোমাঞ্চ কাজ করছে। আমরা অনেকদিন ধরে কাজ (অনুশীলন) করছি না, আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন যেন সবার রেজাল্ট নেগেটিভ আসে।’
টিআইএস/এটি/এনইউ