বাংলাদেশের উইকেট মানেই স্পিন সহায়ক মন্থর। পেসারদের ভূমিকা থাকে সামান্য। এজন্য আন্তর্জাতিক মঞ্চে বিশেষ করে বিদেশ সফরে গিয়ে ভুগতে হয় বাংলাদেশ দলকে। তবে এবার নিউজিল্যান্ডে গিয়ে বাজিমাত করেছেন পেসাররা। এবাদত হোসেন, তাসকিন আহমেদদের হাত ধরেই ইতিহাস রচনা করেছে টাইগাররা। পেসারদের এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। এখন থেকে ঘরোয়া ক্রিকেট হবে স্পোর্টিং উইকেটে।

বিসিবি পরিচালক ও ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস যেমন বললেন, ‘আমরা স্পোর্টিং উইকেট করার চেষ্টা করছি। সিলেটে আমরা ইতোমধ্যে এ ধরনের উইকেট চেষ্টা করেছি। মাউন্ট মঙ্গানুইতে যেমন উইকেট ছিলো তেমন যদি করতে পারি তাহলে আমাদের পেসারদের জন্য অনেক সাহায্য হবে। তাদের অনেক সমর্থন থাকবে, তারা কিন্তু প্রাণ খুলে বল করতে পারবে। তাদের বোলিংটা কিন্তু মেলে ধরতে পারবে।’

অবশ্য এবারের মৌসুমে জাতীয় ক্রিকেট লিগে দেখা মিলেছে স্পোর্টিং উইকেটের। চলতি বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের মিরপুরের ম্যাচগুলো হচ্ছে স্পোর্টিং উইকেটে।

আরেক পরিচালক বোর্ডের ফ্যাসিলিটিজ বিভাগের চেয়ারম্যান আকরাম খান বললেন, ‘আমি আগেও যেটা বলেছি আপনি যদি তুলনা করেন ৪ বছর আগের সাথে তাহলে আগের চেয়ে অনেক ভালো। মিরপুরের উইকেট সেভাবে বিশ্রাম পায় না। তবে আমাদের যারা এখন বিসিএল, এনসিএল খেলছে তাদের জন্য উইকেট উন্নতি করার চেষ্টা করছি। যদি ফ্যাসিলিটিজের কথা বলেন কয়েকটা কাজের কথা আমার মাথায় এসেছে, খেলোয়াড়দের যে ভালো উইকেট ভালো সুবিধা দেওয়ার সেটা হয়তো ইনশাআল্লাহ দেখতে পাবেন।’

উইকেট প্রসঙ্গে নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন বলেন, ‘আমি জানিনা আপনারা এবারের বিসিএল, এনসিএল কতটুকু অনুসরণ করেছেন। ঢাকার বাইরে কিন্তু স্পোর্টিং উইকেটে খেলা হচ্ছে। উইকেট কিন্তু আপনারা দেখেন স্পোর্টিং, পেস বোলার বলেন, স্পিনার বলেন কিংবা ব্যাটসম্যান সবাই সাহায্য পাচ্ছে। উইকেট কিন্তু পরিবর্তন হচ্ছে। আমরা যখন উপমহাদেশের বাইরের দেশের সাথে খেলি তখন কিন্তু উইকেট কিছুটা ভিন্ন হয়। এটা হয় যেনো ঘরের মাঠের সুবিধা নেওয়া যায়।’

প্রক্রিয়া শুরু হলে ফল মিলতে ৩-৪ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে করছেন সুমন। এজন্য ভারতের উদাহরণ টানলেন তিনি।

সুমনের ব্যাখ্যা, ‘যদি আপনি সামগ্রিকভাবে উইকেট পরিবর্তন করতে চান তাহলে ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে উইকেট পরিবর্তন করতে হবে। সে পরিবর্তনটা কিন্তু শুরু হয়েছে, ঢাকার বাইরে উইকেট কিন্তু যথেষ্ট স্পোর্টিং। হ্যাঁ চিটাগাংয়ের উইকেট একটু ব্যাটিং বান্ধব তবে সেটাও দরকার আছে যখন বিদেশে ব্যাটিং বান্ধব উইকেটে খেলা হয় সেখানে কীভাবে বল করতে হয় শিখতে হবে। সুতরাং আমরা উইকেট নিয়ে যে আলাপ করি সে প্রক্রিয়া কিন্তু শুরু হয়েছে।’ 

সঙ্গে যোগ করেন সুমন, ‘ফল আপনি এখন পাবেন না, ৩-৪ বছর পরে পাবেন। ভারত যখন করেছে তখন কিন্তু শুরুতেই ফল পায়নি। ওরা ঘরোয়া ক্রিকেটে পরিবর্তন শুরুর ৬-৭ বছরের মধ্যে অনেক পেস বোলার পাচ্ছে। আমার বিশ্বাস আমরাও উইকেট টেকিং বোলার পেতে যাচ্ছি। আমি আশাবাদী এ নিয়ে।’

টিআইএস/এনইউ/এটি