শুভাগত হোমের কারিশমায় নাটকীয় জয়, বিসিএল শিরোপা মধ্যাঞ্চলের
লক্ষ্যটা মোটে ২১৮ রানের হলেও মধ্যাঞ্চল যেন চতুর্থ দিন শেষেই পথ হারিয়ে বসেছিল। প্রথম ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরি করা মোহাম্মদ মিঠুন যে ফিরে গিয়েছিলেন দুই অঙ্কে পৌঁছানোর আগেই! ২০ রান তুলতেই তিন উইকেট নেই, এমন অবস্থা থেকে পঞ্চম দিনে জয়ের আশা করাটাও কঠিন ছিল মধ্যাঞ্চলের।
শেষ দিনের শুরুর এক ঘণ্টাতে আরও তিন উইকেট নেই তাদের। আগের ম্যাচে তিন অঙ্ক ছোঁয়া সৌম্য সরকারও ফিরলেন ৮ রানে। তাতে কাজটা আরও কঠিনই হয়ে পড়েছিল মধ্যাঞ্চলের। কিন্তু শুভাগত হোম যে সেই কঠিনেরেই বেসেছিলেন ভালো! হাঁকালেন অনবদ্য এক শতক, তাতে ভর করেই পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ফাইনালে দক্ষিণাঞ্চলকে চার উইকেটের ব্যবধানে হারিয়ে বিসিএলের শিরোপা ঘরে তুলেছে মধ্যাঞ্চল।
বিজ্ঞাপন
আগের দিন রিশাদ হোসেনের ৯৯ রানের দারুণ ইনিংসে ভর করে মধ্যাঞ্চলকে ২১৮ রানের লক্ষ্য বেধে দিয়েছিল দক্ষিণাঞ্চল। শেষ বিকেলে ব্যাট করতে নেমে বিপদেই পড়ে মধ্যাঞ্চল। ২১৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সেদিন মাত্র ৯ ওভার ব্যাট করতে পারে দলটি। তবে তাতেই নাসুম আহমেদের স্পিন ঘূর্ণিতে কাবু হয় দলটি। নাসুম ২ ওভারে ২ মেডেনসহ নেন ২ উইকেট, মধ্যাঞ্চল ২০ রানেই হারায় ৩ উইকেট। সৌম্য সরকার ৮ ও সালমান হোসেন ইমন অপরাজিত ছিলেন ৫ রানে।
শেষ দিন আজ সকালে ব্যাট করতে নেমে সৌম্য ফেরেন শুরুতেই। সালমানও বেশি দূর এগোতে পারেননি তিনি। করতে পেরেছেন মাত্র ৩৭ রান। মাঝে তাইবুর রহমানও ফিরেছেন মোটে ৩ রান করে। তাতে ৬৮ রানে ৬ উইকেট খুইয়ে খাদের কিনারে চলে যায় মধ্যাঞ্চল।
বিজ্ঞাপন
এরপরই শুরু শুভাগত শো’র। সঙ্গে যোগ্য সঙ্গ পেয়েছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার জাকের আলির। এ দু’জন দক্ষিণাঞ্চলকে কোনোপ্রকার সুযোগই দেননি। শুভাগত অপরাজিত ছিলেন ১১৪ রানে, সঙ্গী জাকেরের ব্যাট থেকে আসে ৪১ রান। তাদের অবিচ্ছিন্ন ১৫৩ রানের জুটিতে ভর করেই দক্ষিণাঞ্চলকে ৪ উইকেটে হারিয়ে দেয় মধ্যাঞ্চল। তাতেই শিরোপা ঘরে তুলে ফেলে দলটি।
এনইউ