পিছিয়ে পড়া বার্সাকে জেতালেন মেসি
বার্সাকে সমতায় ফিরিয়ে মেসির উচ্ছ্বাস/ছবি: সংগৃহীত
টানা পঞ্চম জয়ের পর হারের শঙ্কাই উঁকি দিয়েছিল বার্সেলোনা-শিবিরে। তবে পিছিয়ে পড়া দলকে বদলি হিসেবে নেমে ৩-২ ব্যবধানের জয় এনে দিয়েছেন লিওনেল মেসি। এই জয়ে আবারও তালিকার দুইয়ে উঠে এসেছে কোচ রোনাল্ড কোম্যানের দল।
শেষ এক মাসে বার্সেলোনা অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচ খেলেছে ৪ টি। চলতি মাসেই আবার লিগের নিয়মিত ম্যাচের পাশাপাশি সেভিয়ার বিপক্ষে কোপা দেল রে আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পিএসজির বিপক্ষে ম্যাচটাও আছে। ঠাসবুনোটের সূচির কথা মাথায় রেখে রিয়াল বেতিসের মাঠ বেনিতো ভিয়ামারিনে রবিবার রাতে মেসি ও শেষ কিছুদিনে দারুণ ফর্মে থাকা ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ংকে প্রথম একাদশে রাখেননি কোচ কোম্যান।
বিজ্ঞাপন
দুই প্রধান খেলোয়াড়কে ছাড়াও বার্সেলোনা শুরু থেকেই ছিল বেশ সপ্রতিভ। মাঝমাঠের দখল ছিল, তবে প্রতিপক্ষ গোলমুখে ত্রাস সৃষ্টি করতে পারছিল না কাতালানরা। এরই মধ্যে ছন্দে থাকা ডিফেন্ডার রোনাল্ড আরাউহো মাঠ ছাড়েন গোড়ালির চোট নিয়ে। বদলি হিসেবে অ্যাটাকিং মিডফিল্ডে ফর্মে থাকা ডি ইয়ংয়ের দ্বারস্থ হন কোচ কোম্যান।
স্বাগতিক বেতিসই প্রথম সুযোগ পায় ২৫ মিনিটে। কিন্তু সে যাত্রায় চেষ্টাটা লক্ষ্যে রাখতে পারেননি হুয়ানমি। তবে ৩৮ মিনিটে পাওয়া সুযোগে আর ব্যর্থ হয়নি বেতিস। ডান দিক থেকে বার্সা থেকেই ধারে বেতিসে থাকা এমারসনের বাড়ানো চমৎকার ক্রসে প্রথম ছোঁয়ায় গোলরক্ষককে পরাস্ত করে সফরকারিদের জাল কাঁপান বোরহা ইগলেসিয়াস। প্রথমার্ধে ম্রিয়মাণ বার্সেলোনা দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই ছিল মরিয়া। বিরতির পরপরই অস্কার মিনগেসার আগুনে শট কোনোক্রমে ঠেকান বেতিস গোলরক্ষক।
বিজ্ঞাপন
ম্যাচের প্রায় এক ঘণ্টা চলে গেলেও তখনো গোলের দেখা পায়নি কোম্যানের দল। মেসির আগমন তখনই। ৫৭ মিনিটে রিকি পুজের বদলি হিসেবে নেমে আসেন তিনি। দ্বিতীয় মিনিটেই ফল পায় বার্সা। ডান পাশ থেকে মিনগেসার পাস থেকে বিপদসীমায় পান বলটি, একটু এগিয়ে ডান পাশের পোস্ট দিয়ে বেতিসের জালে পাঠান মেসি।
এর মিনিট দশেক পর বার্সার এগিয়ে যাওয়া গোলেও ছিল মেসির ছোঁয়া। তার বাড়ানো বল জর্দি আলবাকে খুঁজে পায় বক্সের বাঁ প্রান্তে। তার নিচু ক্রসে গ্রিজমান ঠিকঠাক পা ছোঁয়াতে না পারলেও বেতিস ডিফেন্ডার ভিক্টর রুইজ বিপদমুক্ত করতে গিয়ে উল্টো নিজেদের জালেই জড়িয়ে দেন।
তবে এরপর আবারও বেতিস সমতা ফিরিয়েছে ম্যাচে। নাবিল ফেকিরের ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে দলকে স্কোরলাইনটা ২-২ করেন সাত মিনিট আগে আত্মঘাতী গোলের খলনায়ক রুইজ।
শেষ কিছুদিনে ফ্রান্সেস্কো ত্রিঙ্কাও খেলছিলেন ভালোই, তবে দুর্ভাগ্য পিছু ছাড়ছিল না পর্তুগীজ উইঙ্গারের। শেষ পাঁচ-ছয় ম্যাচে কম করে হলেও পাঁচবার তাকে গোলবঞ্চিত করেছে বারপোস্ট। ৮৬ মিনিটে সে চক্র থেকে মুক্তি মিলে তার। তবে এবারও বারপোস্টের ছোঁয়া ছিল তার গোলে। বেতিস রক্ষণের ভুল থেকে পাওয়া বলে ডান প্রান্ত থেকে দারুণ এক শট করেন তিনি, ক্রসবারে লেগে বল জড়ায় জালে। ফলে ৩-২ ব্যবধানের রোমাঞ্চকর এক জয় নিশ্চিত হয় কোম্যানের শিষ্যদের।
এই জয়ের ফলে ২১ ম্যাচে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দুইয়ে উঠে এসেছেন মেসিরা। তবে শীর্ষে থাকা অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ আছে দলটির ধরাছোঁয়ার বাইরেই। ১৯ ম্যাচ থেকে ৫০ পয়েন্ট অর্জন করেছে কোচ দিয়েগো সিমিওনের শিষ্যরা।
এনইউ