১১ মে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান। দেশের ক্রীড়াঙ্গনে সর্বোচ্চ পুরস্কার এটি। এই পুরস্কার নিতে সুদূর আমেরিকা থেকে আসছেন জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক জুয়েল রানা। 

বছর ছয় আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থিতু হন জুয়েল। পরিবার নিয়ে আমেরিকার ভার্জিনিয়া শহরে থাকছেন। জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের জন্য আমেরিকা থেকে ছুটে আসছেন জুয়েল রানা। 

৮ মে আমেরিকা থেকে রওনা হয়ে ৯ মে সকালে বাংলাদেশে পৌঁছাবেন। ১১ মে পুরস্কার গ্রহণের তিন দিন পর আবার আমেরিকার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। 

জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের জন্য আগমন উপলক্ষে জুয়েল রানা ভার্জিনিয়া থেকে বলেন, ‘আমি কিছু দিন আগে দেশে গিয়েছিলাম। তখন এই সময় জানলে হয়তো আরো কিছু দিন থেকেই যেতাম। এখন তারিখ ঠিক হয়েছে ফলে আসতেই হচ্ছে। সারা জীবনের একটি স্বীকৃতি ফলে কিছুটা কষ্ট ও ব্যয়বহুল হলেও সশরীরে উপস্থিত থাকব।’ 

জুয়েল রানা আমেরিকা থেকে এই পুরস্কার নিতে আসলেও এনায়েতুর রহমান বিদেশ থেকে এই পুরস্কার নিতে আসেননি। দেড় যুগ আগে এনায়েত জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পেয়েছিলেন। সেই সময় আমেরিকা থেকে এই পুরস্কার নিতে তিনি দেশে আসেননি। 

জুয়েল রানা বাংলাদেশের ফুটবলের অন্যতম কিংবদন্তি। ১৯৯৯ সালে নেপালের কাঠমান্ডু সাফ গেমসে তার অধিনায়কত্বে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়। ঘরোয়া ফুটবলে খেলেছেন দীর্ঘদিন। ২০০৮ সালে মোহামেডানের জার্সি গায়ে অবসরে যান। এরপর কোচিং করেছেন কিছু দিন। ২০১৬ সালের দিকে সপরিবারে আমেরিকার জন্য রওনা হন। 

এজেড/এনইউ/এটি