ইকবালই থাকছেন জামালদের ম্যানেজার
ইন্দোনেশিয়ায় আসন্ন প্রীতি ম্যাচ এবং এশিয়া কাপ বাছাইয়ের জন্য জাতীয় দলের ম্যানেজার হিসেবে সাবেক ফুটবলার ইকবাল হোসেন আবারও দায়িত্ব পালন করবেন। মার্চ ফিফা উইন্ডোতেও তিনি এই দায়িত্বে ছিলেন।
ফেডারেশন থেকে আসন্ন টুর্নামেন্টের জন্য ম্যানেজারের চিঠি পেয়েছেন ইকবাল হোসেন। ১৬ মে ফুটবলাররা তার কাছেই হোটেল র্যাডিসনে রিপোর্ট করবেন। আগে সিদ্ধান্ত ছিল সারাহ রিসোর্টে চার দিন ক্যাম্পের পর হোটেল র্যাডিসনে আসবেন জামালরা। নতুন সিদ্ধান্তে র্যাডিসনেই হবে ক্যাম্প।
বিজ্ঞাপন
পুনরায় ম্যানেজারের দায়িত্ব পাওয়া প্রসঙ্গে সাবেক এই জাতীয় ফুটবলার বলেন, ‘একজন ফুটবলার হিসেবে সব সময় ফুটবলের সঙ্গে থাকতে চাই। ফেডারেশন ও জাতীয় দল কমিটি আমার উপর আস্থা রাখায় তাদের প্রতি ধন্যবাদ জানাই। আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিক ভাবে করার চেষ্টা করব।’
বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন চতুর্থ মেয়াদে সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে জাতীয় দলে পেশাদার ম্যানেজার নিয়োগের কথা বলেছিলেন। চতুর্থ মেয়াদে দেড় বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো অ্যাডহক ভিত্তিতেই চলছে ম্যানেজার পদ।
বিজ্ঞাপন
গত দেড় বছরে ইকবালই সবচেয়ে বেশি বার ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেছেন। এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছিলেন বাফুফে সদস্য সত্যজিত দাস রুপু ও একবার আমের খান।
ক্লাবের সাথে সম্পৃক্ত কেউ জাতীয় দলের ম্যানেজার থাকলে নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে এজন্য বাফুফে সভাপতি পেশাদার ম্যানেজার নিয়োগের কথা বলেছিলেন। জাতীয় দলের ম্যানেজার পদ নিয়ে আবাহনী-কিংসের মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধও আছে খানিকটা।
জাতীয় পুরুষ ও নারী দুই দলের ম্যানেজার বাফুফের কমিটির বাইরের দুই জন। এ নিয়ে আবার বাফুফের নির্বাহী কমিটির অনেকের মধ্যে চাপা ক্ষোভ রয়েছে। ইকবাল ও আমিরুল ইসলাম বাবু উভয়ে এই বার সালাউদ্দিনের প্যানেল থেকে নির্বাচন করে হেরেছেন।
আধুনিক ফুটবল বিশ্বে কোচের পদই ম্যানেজার হিসেবে স্বীকৃত। উপমহাদেশের ফুটবলে কোচের পাশাপাশি দলীয় ব্যবস্থাপনায় একজন ম্যানেজার থাকেন। দল গঠন, পরিচালনা ও নির্দেশনায় ম্যানেজারের ভূমিকা তেমন না থাকলেও সম্মানীয় এই পদের ওপর তাই আকর্ষণ থাকে অনেকেরই।
এজেড/এনইউ