আর দশটা দিনের তুলনায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আজকের ব্যস্ততাটা একটু আলাদা। প্রায়ই দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভিভিআইপিরা যাতায়াত করেন। আজও এক ভিভিআইপি অবতরণ করেছে তবে সেটা ব্যক্তি নন, বস্তু। কাতার বিশ্বকাপের ট্রফি। সারা পৃথিবী যে ট্রফির দিকে তাকিয়ে সেই ট্রফিকে দূর থেকে এক নজর দেখার চেষ্টা বিমানবন্দরে কর্মরত অনেকের। 

বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন ১৪ বছরের বেশি সময়। তার এই মেয়াদে দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ ট্রফি বাংলাদেশে এলো। বিশ্বকাপের ট্রফি নয় বছর পর আবার আসায় তিনি গর্বিত, ‘এটা আমাদের জন্য খুব গর্বের। ট্রফি আবার বাংলাদেশে এসেছে।’ 

বাংলাদেশ বিশ্বকাপে কখনো খেলেনি, অদূর ভবিষ্যতে খেলার সম্ভাবনাও ক্ষীণ। বিশ্বকাপের এই ট্রফি বাংলাদেশের ফুটবলাঙ্গনের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে দেখছেন বাফুফে সভাপতি, ‘ট্রফিটি বাংলাদেশের ক্লাব, ফুটবলার সংগঠকদের জন্য ভালো কিছু করার অনুপ্রেরণা।’ 

২০১৩ সালেও বিশ্বকাপের ট্রফি বাংলাদেশে এসেছিল। নয় বছর পর আবার এলো। এই নয় বছরে ফুটবল কতটুকু এগিয়েছে? এর উত্তর তিনি এই মুহূর্তে না দিয়ে পরে দিতে চেয়েছেন। 

বাফুফে সভাপতি সাংবাদিকদের সঙ্গে যখন কথা বলছিলেন তখন তার পাশে ছিলেন ফিফার ট্রফি ট্যুরের প্রধান সারাহ। তিনি সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্ন নেননি। এমনি সংক্ষিপ্ত এক স্বাগত বক্তব্যে বলেছেন, ‘বাংলাদেশে ট্রফি নিয়ে আসতে পেরে ভালো লাগছে। আশা করি বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীরা খুব উপভোগ করবে।’ 

বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ট্রফি এখন হোটেল র‍্যাডিসনের পথে। সেখান থেকে বিকেলে ট্রফি নিয়ে যাওয়া হবে রাষ্ট্রপতির বাসভবন গণভবনে এরপর সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে। 

এজেড/এনইউ/এটি