রেফারির সিদ্ধান্তের সঙ্গে খেলোয়াড়রা দ্বিমত পোষণ করতেই পারেন, সীমা লঙ্ঘন না করে প্রতিবাদও জানাতে পারেন। তবে রেফারির ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে যদি শারীরিকভাবে আঘাত করে বসে, সেটা নিতান্তই গর্হিত কাজ হিসেবে পরিগণিত হবে। আর্জেন্টিনার ঘরোয়া তৃতীয় বিভাগ ফুটবল প্রতিযোগিতা ত্রস আরোয়েস আঞ্চলিক লিগে এমন ঘটনাই ঘটেছে।

লিগে ইন্দিপেন্দেনসিয়ার বিপক্ষে গারমেনসের ম্যাচে দলটির ফুটবলার ক্রিস্টিয়ান তিরোনে ম্যাচের নারী রেফারির সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে ঘুষি মেরে বসেন। আঘাতের তীব্রতায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন রেফারি দালমা কোরতাদি, স্থানীয় একটি হাসপাতালে  বেশ কয়েক ঘণ্টা শুশ্রূষার পর সেরে ওঠেন তিনি। অনাকাঙ্ক্ষিত এই ঘটনার পর ম্যাচটিও বাতিল হয়ে যায়।

আরও পড়ুন >> ফুটবল ফেডারেশনের বিরিয়ানির বিল ৫১ লাখ টাকা!

এদিকে ঘটনার পরপরই তিরোনেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ৩৪ বছর বয়সী এই ফুটবলারকে এরই মধ্যে আজীবন নিষিদ্ধ করেছে তার দল গারমেনস।

ঘটনার আকস্মিকতায় হতবিহ্বল রেফারি কোরতাদি বলেন, ‘আমি (ঘুষির পর) পড়ে যাই, তারপর আমার আর কিছু মনে নেই। যখন জেগে উঠি তখন আমার মাথা ঘুরছিল এবং বমি বমি ভাব হচ্ছিল। আমার সাথে কখনো এরকম কিছু ঘটেনি।’

আরও পড়ুন >> ব্রাজিলকে আটকে দিল বাংলাদেশ

আর্জেন্টাইন দৈনিক ওলে’কে কোরতাদি আরও বলেছেন, ‘আমি বিচার চাই। এই লোক যা করেছে, তাকে সেটার মূল্য চুকাতে হবে। এটাই মূল কথা।’

উল্লেখ্য, ম্যাচে একটি ফাউলের পর তিরোনে সহ দুজনকে লাল কার্ড দেখিয়েছিলেন রেফারি কোরতাদি। এরপরই ক্ষুব্ধ হয়ে রেফারিকে আঘাত করে বসেন ওই আর্জেন্টাইন ফুটবলার।

এইচএমএ/এটি