জামালের ভাবনায় কোচিং ব্যাকআপ
বাফুফে ভবনে সকালে তারকাদের মিলনমেলা। গত এক দশকে যারা দেশের ফুটবল মাতিয়েছেন। তারা বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে এসেছিলেন নিজেদের অন্য ভূমিকায় তৈরি করতে। জামাল, মামুনুল, ওয়ালীরা এএফসি’র এলিট কোচিং কোর্স করছেন।
জাতীয় দলের বর্তমান অধিনায়ক জামাল ভূইয়া এই কোর্স করলেও তার মনোযোগ এখনোও খেলায়, ‘কোর্স করে রাখছি। তবে আমি আরো অনেক দিন খেলতে চাই।’ জামাল ভূঁইয়া ত্রিশ পেরিয়েছেন। এই বয়সে ফুটবলাররা ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করে থাকেন। কোচিং কোর্স সেই ভবিষ্যত পরিকল্পনারই খানিকটা অংশ, ‘খেলা ছাড়ার পর কি করব এখনো ঠিক করিনি। কোচিং একটা ব্যাক আপ প্ল্যান। বিজনেসও করতে পারি। আমার বিজনেস আছে, যা শেয়ার করি না।’
বিজ্ঞাপন
জামালের আগে অনেক দিন বাংলাদেশের আর্মব্যান্ড ছিল মামুনুল ইসলামের হাতে। জাতীয় দলের জার্সিতে এখন তাকে না দেখা গেলেও প্রিমিয়ার লিগ খেলছেন। এই কোচিং কোর্স তিনি শিক্ষণীয় হিসেবে দেখছেন, ‘এই কোর্স থেকে অনেক কিছু শেখার রয়েছে। আমরা যেটা পরবর্তীতে অন্যদের শেখাতে পারব।’
কোর্স মানেই নতুন করে পড়াশোনা। সেটা ভালোই উপভোগ করছেন জাতীয় দলের গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা, ‘নতুন অনেক কিছুই শিখছি। পড়াশোনাটাও ফুটবল নিয়ে।’ তবে তিনি এই কোর্সের জন্য বেশি ধন্যবাদ দিয়েছেন বাফুফের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলিকে, ‘শীর্ষ ফুটবলারদের জন্য এটি দারুণ সুযোগ। তিনি এটি নিয়ে পরিকল্পনা করেছেন এবং অসাধারণ উদ্যোগ নিয়েছেন।’
জাতীয় দলে এক যুগের বেশি সময় খেলা ওয়ালী ফয়সাল এই কোর্স তাদেরকে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে রাখবে বলে মনে করেন, ‘এটা বিশেষায়িত কোর্স। এই কোর্সের মাধ্যমে আমরা অনেকটা এগিয়ে থাকব। এর পরবর্তীতে কেউ কোচিং পেশা হিসেবে নিতে গেলে তাদের সময় অনেক বাঁচবে।’
বিজ্ঞাপন
বিশেষায়িত কোর্সের মূল্যও খানিকটা চড়া। এই কোর্স করতে জামাল-মামুনদের বাফুফেকে দিতে হবে ৩ লাখ টাকা। দশ জনের কাছ থেকে বাফুফে ৩০ লাখ টাকা পাওয়ার কথা। আজ জাহেদ পারভেজ চৌধুরি ও নাসিরউদ্দিন চৌধুরি সশরীরে উপস্থিত ছিলেন না। অনলাইনে দুই জন এবং বাকি ৮ জন বাফুফে ভবনে উপস্থিত ছিলেন।
এজেড/এইচএমএ