সত্তর আশির দশকে ঘরোয়া ফুটবলে তারুণ্য ও তৃতীয় শক্তি ছিল ব্রাদার্স ইউনিয়ন। সোনালী সময়ে ব্রাদার্সের অন্যতম কুশীল ফুটবলার ছিলেন বাবুল পাল। যিনি ফুটবলাঙ্গনে টিকি বাবুল নামেই পরিচিত ছিলেন। সেই টিকি বাবুল আর নেই। 

দুই বছর আগে বাইপাস সার্জারি হয়েছিল। এরপর থেকে শারীরিক দুর্বলতা এবং অসুস্থতা ছিল। আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৭০ বছর বয়সে মারা গেলেন ব্রাদার্সের এক সময়ের তারকা। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, একপুত্র, কন্যা সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। 

১৯৭৩-৮২ পর্যন্ত ব্রাদার্স ইউনিয়নে খেলেছেন বাবুল। তৃতীয় বিভাগ থেকে ব্রাদার্সকে প্রথম বিভাগে উঠানো এবং ঘরোয়া ফুটবলে কমলা জার্সিকে পরিচিত করানোর পেছনে টিকি বাবুলের অবদান রয়েছে অনেক। লেফট আউট পজিশনে খেলা বাবুল ১৯৮১ সালে আগাখান গোল্ডকাপে ইন্দোনেশিয়ার ক্লাবের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেন। সেই টুর্নামেন্টে ব্রাদার্স ইউনিয়ন যুগ্মভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়। স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময় আগাখান গোল্ডকাপে মোহামেডান চ্যাম্পিয়ন হলেও স্বাধীনতা পরবর্তী সময় একমাত্র ব্রাদার্সই শিরোপা জিতেছিল। ১৯৭৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল দলের হয়ে ভারত সফরে বেশ সুনাম অর্জন করেন।

ব্রাদার্স ইউনিয়নের অন্যতম কিংবদন্তি ও সাবেক ফুটবলারদের সংগঠন সোনালী অতীত ক্লাবের সভাপতি হাসানুজ্জামান খান বাবলু সতীর্থের বিদায়ে বেশ শোকাহত,‘আমাদের ব্রাদার্সের নিয়মিত একাদশের খেলোয়াড় তিনি। অত্যন্ত কুশলী ফুটবলার এবং অত্যন্ত ব্রাদার্স অন্তঃপ্রাণ ছিলেন। পুরো ক্যারিয়ারই ব্রাদার্সে কাটিয়েছে।’ 

বাবুল পালের মৃত্যুতে সোনালী অতীত ক্লাব, ফুটবলের অনেক ব্যক্তিত্বই শোক প্রকাশ করেছেন।

এজেড/এটি