গত বছর থেকে ঘরোয়া ফুটবলের সূচিতে পরিবর্তন এসেছে। বর্তমান নিয়মে ফেডারেশন কাপের বদলে স্বাধীনতা কাপ দিয়ে শুরু হচ্ছে লিগ। প্রিমিয়ার লিগের ১১ দল সরাসরি স্বাধীনতা কাপের মূল পর্বে খেলছে। পাঁচ দলকে আসতে হচ্ছে বাছাই পর্ব পেরিয়ে।

বাছাইয়ে অংশ নেওয়ার কথা ছিল চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের ক্লাবগুলোর সঙ্গে তিন বাহিনীরও। চ্যাম্পিয়িশিপ লিগ থেকে মাত্র চার দল এই স্বাধীনতা কাপে অংশ নিচ্ছে। বাফুফে তিন দলকে সরাসরি বাই দিয়ে মূল পর্বে খেলার সুযোগ দিচ্ছে। সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনী, লিটল ফ্রেন্ডস এবং বিমানবাহিনী একটি নক আউট ম্যাচে অংশ নেবে। এই দুই ম্যাচের জয়ী দল যথাক্রমে গ্রপ এ এবং সি তে খেলবে। বাছাইয়ের ফরম্যাটের জন্য অবশ্য ফকিরাপুল ইয়ংমেন্স, উত্তরা ফুটবল একাডেমী ও বাফুফে একাডেমি সরাসরি মূল পর্ব খেলছে। 

এবারের স্বাধীনতা কাপ মুন্সিগঞ্জ, কুমিল্লা এবং গোপালগঞ্জে অনুষ্ঠিত হবে। ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে। কুমিল্লায় ফাইনাল হওয়ায় মাঠের পরিচর্যার জন্য সেখানে সেমিফাইনাল ম্যাচ রাখা হয়নি। মুন্সিগঞ্জ এবং গোপালগঞ্জে অনুষ্ঠিত হবে দুই সেমিফাইনাল ম্যাচ। তিন ভেন্যুতেই গ্রপ পর্বের ম্যাচ রয়েছে। প্রতি ম্যাচের ভেন্যু লটারির মাধ্যমে নির্ধারিত হয়েছে। 

লটারির ভিত্তিতে ভেন্যু নির্ধারণ করার সম্পর্কে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ বলেন, ‘এক গ্রপ এক ভেন্যুতে দিলে ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সুবিধা হলেও ক্লাবগুলোর দাবির প্রেক্ষিতে আমরা এভাবে লটারি করে ম্যাচ ভেন্যু নির্ধারণ করছি।’

মূল পর্বের ড্রয়ের লটারিতে মোহামেডান, বসুন্ধরা কিংস, আবাহনী ও শেখ জামাল চার গ্রপের চার শীর্ষ দল। বসুন্ধরা কিংস এবং আবাহনী গ্রপে রানার্স আপ না হলে ফাইনালের আগে তাদের দেখা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ১৩ নভেম্বর শুরু হওয়া টুর্নামেন্ট শেষ হবে ৫ ডিসেম্বর। 

গ্রপ এ- মোহামেডান, শেখ রাসেল, ফর্টিজ , আর্মি/নেভী
গ্রপ বি- বসুন্ধরা কিংস, চট্টগ্রাম আবাহনী, আজমপুর,ইয়ংমেন্স
গ্রপ সি- আবাহনী, মুক্তিযোদ্ধা, লিটল/বিমানবাহিনী,উত্তরা ফুটবল একাডেমী
গ্রপ ডি- শেখ জামাল, বাংলাদেশ পুলিশ এফসি, রহমতগঞ্জ, বাফুফে একাডেমী

এজেড/এনইআর