২০১৮ সালে ক্যারিয়ারের প্রথম বিশ্বকাপে পুরো আলোটাই নিজের করে নিয়েছিলেন কিলিয়ান এমবাপে। টুর্নামেন্টের শেষদিকে নজরকাড়া সব পারফরম্যান্স করে দলকে জিতিয়েছিলেন বিশ্বসেরার তকমা। পরের বিশ্বকাপের শুরুটাও ঠিক চ্যাম্পিয়নের মতোই করলেন ফরাসি স্ট্রাইকার। বিশ্বকাপে দলের প্রথম ম্যাচে বড় অবদান রেখে দলকে জিতিয়েছেন বিশাল ব্যধানে।

মঙ্গলবার রাতে কাতারের আল জনৌব স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়াকে ৪-১ গোলে হারিয়েছে ফ্রান্স। এক গোল ও এক অ্যাসিস্টে দলের জয়ে বড় অবদান রেখেছেন এমবাপে। 

বিশ্বকাপের গত কয়েক আসর ধরেই চলে আসছে ‘চ্যাম্পিয়ন কার্স’। এক বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন পরের বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়বে এটাই যেন হয়ে উঠেছে টুর্নামেন্টের নিত্যনৈমত্তিক ব্যাপার। এবারের টুর্নামেন্টের শুরুতেই তেমনই ধাক্কা খেতে যাচ্ছিল ফ্রান্স। ম্যাচের নবম মিনিটেই ক্রেইগ গুডউইনের গোলে পিছিয়ে পড়ে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। শুধু তাই নয়, প্রথম ২৫ মিনিটে অস্ট্রেলিয়ার গোলমুখে একটি শটও নিতে পারেনি তারকায় ভরপুর ফ্রান্স দল।

তবে কিছুক্ষণ সময় লাগলেও প্রথমার্ধেই খেলায় ফিরেছে ফ্রান্স। শুরুতে  ডেডলক ভাঙেন অ্যাড্রিয়েন র‍্যাবিয়ট। পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে জিরুড গোল করে লিড এনে দেন ফ্রান্সকে। এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে ফ্রান্স। পরের গল্পটা এমবাপের। 

৬৮তম মিনিটে বাঁ দিক থেকে এমবাপের কোনাকুনি শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে অন্য পাশে বল ধরে দেম্বেলে ক্রস বাড়ান ছয় গজ বক্সে। প্রতিপক্ষের দুজনের মধ্যে লাফিয়ে হেড করেন পিএসজি তারকা, বল পোস্টের ভেতরের দিকে লেগে জালে জড়ায়। নিজে গোল করার মিনিট কয়েক পর আরেক গোলে অবদান এমবাপের, এবার যোগানদাতা তিনি। বাঁ প্রান্ত থেকে করা পিএসজি ফরোয়ার্ডের ক্রসে জিরুডের হেড। ফ্রান্স ৪- অস্ট্রেলিয়া ১। ম্যাচের বাকিটা সময় ছিল শুধু আনুষ্ঠানিকতা। বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ফ্রান্স।