তুলনামূলক দুর্বল দল ইকুয়েডরের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের ম্যাচ ড্র করেছে নেয়ারল্যান্ডস। ম্যাচের শেষদিকে ইকুয়েডরের আক্রমণ যেভাবে ভীতি ছড়াচ্ছিল তাতে জিতেও যেতে পারতো ল্যাটিন আমেরিকার দলটি। কিন্তু মাঝমাঠ আগলে রেখে সে বিপদ সামলেছেন ফ্রেংকি ডি ইয়ং। আর তাই গোল না পেয়েও ম্যাচসেরার পুরষ্কারটা উঠেছে তার হাতেই।

আক্রমণাত্মক শুরুর পর ষষ্ঠ মিনিটে প্রথম ভালো সুযোগ কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। তবে এই গোলের পরই খেলার গতি কমিয়ে দেয় ডাচরা। নিজেদের মধ্যে ছোট ছোট পাসে সময় নষ্ট করতে থাকে তারা। 

সুযোগ পেয়ে আক্রমণে উঠতে শুরু করে ইকুয়েডর। তবে বলের নিয়ন্ত্রণটা ঠিকই নিজেদের করে রেখেছিল ডাচরা। আর মাঝমাঠ থেকে এই কাজটা মূলত করছিলেন ডি ইয়ং। ৯০ মিনিটের পুরোটা সময় মাঠে থাকা বার্সেলোনা মিডফিল্ডার আজ রক্ষণ থেকে শুরু করে আক্রমণ, সব ক্ষেত্রেই দেখিয়েছেন মুন্সিয়ানা। 

তবে বেশিক্ষণ আটকে রাখা যায়নি ইকুয়েডরকে। ৪৯ তম মিনিটে ভালেন্সিয়া সমতায় ফেরান ল্যাটিন দলটিকে। সমতায় ফেরার পর গোলের জন্য আরও মরিয়া হয়ে ওঠে ইকুয়েডর। এসময় দলের হাল ধরে ফ্রেংকি ডি ইয়ংদের মিডফিল্ড। ম্যাচে মোট ৬৯টি পাস খেলেছেন ডি ইয়ং। এর মধ্যে ৬৪টি পাসই দিয়েছেন তিনি সঠিকভাবে। এছাড়া একটি লং পাস ও একবার ড্রিবলও করেছেন নৈপুন্যের সঙ্গে।