কোস্টারিকার ‘অপ্রত্যাশিত নায়ক’ ফুলার
স্পেনের কাছে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৭-০ গোলের হার। সেই ম্যাচে কোস্টারিকা গোল তো দূরের কথা, একটা শটও রাখতে পারেনি লক্ষ্যে। ধারে-ভারে শক্তি-সামর্থ্যে জাপান স্পেনের চেয়ে ঢের পিছিয়ে। সেই জাপানের বিপক্ষেও রীতিমতো খাবি খাচ্ছিল কোস্টারিকা।
গোলমুখে শটই রাখতে পারছিল না একদম। তখনই দৃশ্যপটে এলেন কেশার ফুলার। দারুণ এক গোল করলেন, জিইয়ে রাখলেন দলের শেষ ষোলোর আশা। বনে গেলেন কোস্টারিকার ‘অপ্রত্যাশিত নায়ক’।
বিজ্ঞাপন
স্পেনের মতো গোল করতে পারছিল না বটে। কিন্তু জাপান আক্রমণটা করে যাচ্ছিল ঠিকঠাক। পুরো ম্যাচজুড়েই ছড়ি ঘুরিয়েছে এশিয়ান জায়ান্টরা।
জাপানের এমন আক্রমণের ফলে কোস্টারিকাকে বাধ্য হয়েই খেলতে হচ্ছিল প্রতি-আক্রমণ নির্ভর ফুটবল। তবে কাজ হচ্ছিল না। জাপানি গোলরক্ষক শুইচি গন্ডাকে ফরোয়ার্ডদের কেউই পরীক্ষায় ফেলতে পারছিলেন না।
বিজ্ঞাপন
স্পেন ম্যাচে কোস্টারিকা অন টার্গেট শট নিতে পারেনি একটিও। পারছিল না জাপানের বিপক্ষেও। ফরোয়ার্ডদের সবাই যখন ব্যর্থ, তখনই সুযোগটা নিলেন একজন যিনি ফরোয়ার্ড নন। কেশার ফুলার খেলেন রাইটব্যাক হিসেবে। তিনিই কেড়ে নিলেন আলোটা।
ডি বক্সের কোণায় বল হারায় জাপান। ইয়েলতসিন তেজাদা হয়ে বলটা যায় কেশার ফুলারের কাছে। বক্সের ডান পাশ থেকে তার দারুণ বাঁকানো শটটা গিয়ে আছড়ে পড়ে জাপানের জালে। সেই এক গোলই জাপানের হার নিশ্চিত করে দেয়। ফুলার তাতেই বনে যান কোস্টারিকার অপ্রত্যাশিত নায়ক।
এনইউ