দোহার রাস্তায় নামলেই দেখা মেলে বিশ্বকাপের বাস! নানা রঙে আঁকা বিশ্বকাপের বাস। কোনো বাস ভলান্টিয়ারদের জন্য, আবার কিছু মিডিয়া, কিছু আবার ফিফার অফিসারদের জন্য। ম্যাচের সময় স্টেডিয়ামগুলোর সামনে থাকে বাসের সারি। সাংবাদিকদরা হলুদ রংয়ের, ফিফার স্টাফ-ভলান্টিয়াররা নীল রংয়ের গাড়ি ব্যবহার করেন। এই বিশ্বকাপ উপলক্ষে কয়েকশ বিশেষ বাস রয়েছে। 

কাতার ন্যাশনাল লাইব্রেরির সামনেই কাতার ন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার। সেখানেই মূল প্রেস সেন্টার। সারা বিশ্বের সাংবাদিকরা নানা প্রান্তে ছুটে যাচ্ছেন এখান থেকে সেখানে। মেইন প্রেস সেন্টারের নিচে রয়েছে সুবিশাল বাস পার্কিং। 

বাসগুলো লাইন ধরে সাজানো। কিছু বাস রয়েছে স্টেডিয়ামের লাইনে, কিছু অনুশীলন আবার কিছু আবাসস্থলের জন্য। যখন যার যেটা প্রয়োজন সে সেভাবে বাসে উঠে পড়ছে। প্রতিটি গন্তব্যের জন্য ৫-৭ মিনিট পর পর বাসা। 

এই বিশ্বকাপে সবচেয়ে দূরের ভেন্যু আল বায়াত। দোহা থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার। বেশি দূরে হওয়ায় সেই বাসের কলেবরও বড়। বাসে রয়েছে ল্যাপটপে কাজের পরিবেশ। ছোট-কম দূরত্ব সকল বাসেই রয়েছে ফ্রি ইন্টারনেট। বাস চালকরা কেউই কাতারি নন; অধিকাংশ আফ্রিকান। তারা সবাই ইংরেজিতে দারুণ দক্ষ। ফলে বাস আরোহীদের কোনো সমস্যাই হয় না। 

ভারতের সাংবাদিক মুনাল চট্টোপাধ্যায়ের এটি পঞ্চম বিশ্বকাপ। জার্মানি থেকে রাশিয়া চার বিশ্বকাপে এক স্টেডিয়াম থেকে আরেক স্টেডিয়ামে যেতে ট্রেন ও বিমান ধরেছেন। এবার বাসেই বিশ্বকাপ কাটিয়ে দিচ্ছেন, ‘এক শহর ও এর নিকটবর্তী হওয়ায় সব কিছুই বাসে হচ্ছে। এতে ভ্রমণ ক্লান্তি ও সময় দুটোই সাশ্রয় হচ্ছে।’

বিগত বিশ্বকাপগুলোতে খেলোয়াড় সংগঠকরাও বিমানে ছুটতে হয়েছে। এবার মেসি-রোনালদোরাও বাসে চড়েই স্টেডিয়াম টু স্টেডিয়াম, অনুশীলন সব কিছু করেছেন। কাতার বিশ্বকাপ তাই বাসেরও বিশ্বকাপ! 

এজেড/এটি/এনইউ