শীতের সকালে কয়েক জন ফুটবলার বাফুফে ভবনে। সবার হাতেই নানা কাগজপত্র। ক্লাবের সঙ্গে হওয়া চুক্তির পাওনা টাকা না পাওয়ায় দেশের ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা বাফুফের কাছে এসেছেন তারা। 

এবারের মৌসুমে আবাহনীতে খেলছেন ডিফেন্ডার রহমত মিয়া। গত মৌসুমে ছিলেন শেখ রাসেল ক্লাবে। চুক্তির ৯ লাখ টাকা এখন পর্যন্ত বাকি দাবি করে বাফুফে নির্বাহী হাসান মাহমুদের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন তিনি। ২০২০-২১ মৌসুমে রাসেলের আক্রমণভাগে ছিলেন উইঙ্গার মো.ইলিয়াস। দুই মৌসুম আগের বকেয়া ২ লাখ ৩৬ হাজার টাকার দাবি জানিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনিও। বর্তমানে বিসিএলের দল নোফেল স্পোর্টিংয়ের হয়ে খেলা ইলিয়াস বলেন, ‘বারবার কর্মকর্তাদের কাছে ফোন দেওয়ার পরও আমাকে ঘোরানো হয়েছে। আমার মা দুইবার স্ট্রোক করেছেন। তার চিকিৎসার জন্য আমার পাওনা টাকা চেয়েছি, কেঁদেছি। কর্মকর্তারা বারবার বলেছেন, হচ্ছে হচ্ছে। কিন্তু কোনো ফল আসেনি।’ 

বকেয়া পারিশ্রমিকের দাবিতে শেখ রাসেলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানান জাতীয় দলের একাধিকসহ ১৫ ফুটবলার। জাতীয় দলে খেলছেন বা খেলেছেন এমন ফুটবলারদের মধ্যে ছিলেন রহমত মিয়া, সাদ উদ্দিন, মো.জুয়েল, নাসিরউদ্দিন চৌধুরীর মতো ফুটবলাররা আছেন। ফুটবলারদের অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হয় শেখ রাসেলের ম্যানেজার হাবিবুর রহমান মান্নুর সঙ্গে। এই বিষয়ে কিছু জানা নেই দাবি করে আগের কমিটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন তিনি। শেখ রাসেল ক্লাবের পরিচালক ( ক্রীড়া) সালেহ জামান সেলিমকে একাধিকবার ফোন করা হলেও পাওয়া যায়নি।  

এজেড/এনইআর