দুঃস্বপ্নের মতো মৌসুম পার করছে চেলসি। সাবেক এই ইংলিশ চ্যাম্পিয়নরা কিছুতেই যেন হারের বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না। ফলে পয়েন্ট টেবিলের ১১ নম্বরে থেকে রেলিগেশনে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছে দলটি। সেই পরিস্থিতি মেনে নেওয়ার মতো অবস্থায় নেই দর্শকরা। তাই তো সবশেষ ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষে হারের ম্যাচে তারা খেলোয়াড়দের দুয়ো দিয়েছেন। সমর্থকদের এমন আচরণে ভুল কিছু দেখছেন না চেলসি কোচ ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ড। বলছেন, আমরা এটারই প্রাপ্য।

কঠিন সময়ে দলের দায়িত্ব নিয়েছেন সাবেক তারকা ফুটবলার ল্যাম্পার্ড। দলকে কক্ষপথে ফেরানোর আশা দেখালেও এখন পর্যন্ত তিনি ব্যর্থ। তার কোচিংয়ে দলটি উল্টো হেরে চলেছে একের পর এক ম্যাচ। অন্তর্বর্তীকালীন কোচের দায়িত্ব নিয়ে ল্যাম্পার্ড মহাবিপদেই পড়েছেন। অবশ্য গ্রাহাম পটারের সময় থেকেই মৌসুমজুড়ে একই দশা দেখে আসছে চেলসি। এরপরই গত মাসে পটারের স্থলাভিষিক্ত হন ল্যাম্পার্ড। তার হাত ধরেও সৌভাগ্য ফেরার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। 

আরও পড়ুন >> নেইমারকে নিতে মুখোমুখি দুই ইংলিশ ক্লাব

গতকাল (২৬ এপ্রিল) রাতে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে চেলসিকে ২-০ গোলে হারিয়ে দেয় ব্রেন্টফোর্ডে। এ নিয়ে নিজেদের সবশেষ সাত ম্যাচের ছয়টিতেই গোল করতে ব্যর্থ হলো লন্ডনের ক্লাবটি। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে চেলসির সবশেষ জয় এসেছিল গত ১১ মার্চে, লেস্টার সিটির বিপক্ষে।

দলের এমন ছন্নছাড়া অবস্থায় ভীষণ ক্ষুব্ধ ক্লাবটির ভক্তরা। ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষে ম্যাচে তাদের সেই হতাশাই প্রকাশ পায়। যার ধারাবাহিকতায় খেলোয়াড়দের দুয়ো দেন তারা। কঠিন সময়ে সমর্থকদের পাশে না পাওয়ার হতাশা থাকলেও তাদের এই আচরণের কারণটাও অনুধাবন করতে পারছেন ল্যাম্পার্ড, ‘অবশ্যই ভক্তরা উদ্বিগ্ন। আপনি চেলসির সমর্থক হলে স্বভাবতই ২০ বছর ধরে সাফল্য পেতে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন এবং স্বাভাবিকভাবেই আরও জয় চাইবেন। তাই ভক্তদের দুয়োর কারণ আমি বুঝতে পারছি।’

চেলসি কোচ আর বলছেন, ‘সমর্থকদের দুয়ো দেওয়া নিয়ে আমার কোনো সমস্যা নেই। আমি এখানে বসে ভক্তদের বিপক্ষে গিয়ে তাদেরকে খেলোয়াড়দের দুয়ো দিতে মানা করতে পারি না। আমি খেলোয়াড়দের রক্ষা করব, কারণ তারা তরুণ, যারা ভালো করতে চায়।’

একইসঙ্গে খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস নিয়ে সমস্যা আছে বলেও মনে করছেন সাবেক এই ইংলিশ মিডফিল্ডার। তার মতে, চেলসিতে স্কোয়াডের ভারসাম্য নিয়েও সমস্যা রয়েছে।

এএইচএস