সুখবর এলো বাংলাদেশের ফুটবলে
২০১৯ সালের এএফসি অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করছিলেন বাফুফে সাবেক ও সাফ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল
সাম্প্রতিক সময়ে অনেক নেতিবাচক খবরের শিরোনাম হয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল। এবার একটি সুখবর মিলল। এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন থেকে একটি সম্মাননা পেয়েছেন বাফুফের সাবেক ও সাফের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল।
গতকাল জাপানে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল ম্যাচের পর এই সম্মাননা অনুষ্ঠান হয়। একই দিনে সাফের কংগ্রেস থাকায় হেলাল অনুষ্ঠানে সশরীরে থাকতে পারেননি। এই সপ্তাহের মধ্যেই হেলালের সম্মাননা বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে।
বিজ্ঞাপন
এক দশকের বেশি সময় হেলাল এএফসি’র ম্যাচ কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন। ম্যাচ কমিশনারদের মধ্যে যাদের বয়স ৬৫ উর্ধ্ব এমন পাঁচজনকে ‘এএফসি সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড’ সম্মাননা জানিয়েছে এশিয়ার ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
সম্মাননা প্রসঙ্গে সাফের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল বলেন, 'এএফসি থেকে জাপানে যাওয়ার আমন্ত্রণ ছিল। সাফের কংগ্রেস থাকায় যাওয়া সম্ভব হয়নি। এই সম্মাননা প্রাপ্তদের এএফসি আর ম্যাচ কমিশনারের দায়িত্ব দেবে না অনেকটা আনুষ্ঠানিক অবসরের মতো আর কি। তবে নতুন ম্যাচ কমিশনার তৈরি বা ফুটবল সংক্রান্ত কাজে আমাদের সম্পৃক্ত রাখবে বলে জানিয়েছে।'
বিজ্ঞাপন
এএফসি সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন পাঁচ জন। আনোয়ারুল হক হেলাল ছাড়া আরেক জন রয়েছেন বাফুফে সম্পৃক্ত। চলতি বছর বাফুফের রেফারি পরামর্শক হিসেবে যোগদান করেছেন ভারতীয় সাবেক ফিফা রেফারি গৌতম কর। তিনিও দীর্ঘদিন এএফসি’র ম্যাচ কমিশনার থাকায় এই সম্মাননা পেয়েছেন।
হেলাল এই সম্মাননার আগে এএফসি সিলভার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন বাংলাদেশের ফুটবলে দীর্ঘদিন সংগঠক হিসেবে কাজ করায়। সত্তরের দশকে দেশের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব মোহামেডান থেকে সংগঠক হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু আনোয়ারুল হক হেলালের। সময়ের ব্যবধানে মোহামেডানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের একজনে পরিণত হন হেলাল। ফুটবল তো বটেই, মোহামেডানের ক্রিকেট ও হকিতেও যথেষ্ট কাজ করেছেন হেলাল।
নব্বইয়ের দশক থেকে ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা হেলালের। ২০১২ সাল পর্যন্ত ফুটবল ফেডারেশনের বিভিন্ন পদে যুক্ত ছিলেন তিনি। এর মধ্যে এক মেয়াদে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছেন। ২০১৫ সাল থেকে সাফের সম্পাদক হিসেবে আছেন।
এজেড/এইচজেএস