ফাইনাল নিশ্চিত হলেও কাঠমান্ডুর আর্মি গ্রাউন্ডে অনুশীলনে খুবই মনোযোগী বাংলাদেশের ব্রিটিশ কোচ জেমি ডে। ঘণ্টা খানেকের বেশি অনুশীলন করালেন। এরপর একে একে সবাই যখন টিম বাসে উঠছেন। তখনও মাঠের মাঝে গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানাকে নিয়ে অনেকক্ষণ আলাপ করলেন। 

অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া ট্রফি নিয়ে দেশে ফেরার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করলেও কোচ জেমি তার আগের অবস্থানেই রয়েছেন, ‘আমি আগেও বলেছি খেলোয়াড়দের দেখতে চাই। আগের ম্যাচ থেকে এই ম্যাচে পরিবর্তন আসবে। নতুন আরও কয়েকজনকে দেখতে চাই।’ 

কোচ আগের ম্যাচে ২৩ জন স্কোয়াডের মধ্যে ১৬ জনকে দেখেছেন। স্বাভাবিকভাবেই বাকি থাকা সাত জন শনিবার মাঠে নামার সুযোগ পাচ্ছেন এটা নিশ্চিত। 

প্রথম ম্যাচটি কিরগিজস্তান অলিম্পিক দল হওয়ায় ফিফার প্রথম শ্রেণীর ম্যাচের স্বীকৃতি ছিল না। আগামীকালের ম্যাচটি বাংলাদেশ ও নেপাল উভয় জাতীয় দল হওয়ায় ম্যাচটি ফিফার প্রথম শ্রেণীর ম্যাচের স্বীকৃতি পাচ্ছে। এই ম্যাচের ফলাফলের উপর র‌্যাংকিং নির্ভর করছে। র‌্যাংকিং নিয়ে চিন্তিত নন কোচ জেমি, ‘আমি ঢাকাতেও বলেছি, টুর্নামেন্টে লক্ষ্যই আমার খেলোয়াড় দেখা। র‌্যাংকিং উন্নতি-অবনতি বিষয় নয়।’ 

উন্নতি-অবনতি না হলেও কালকের ম্যাচে আবার ইতিবাচক ফলও চান জেমি, ‘ইতিবাচক ফল নিয়ে আমি ফাইনাল খেলতে চাই।’ নভেম্বরে নেপালের বিরুদ্ধে ঢাকায় দুই ম্যাচের সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। এক ম্যাচে জয় ও আরেকটিতে ড্র করেছিল জেমির শিষ্যরা। 
 
দুই ম্যাচে খেলোয়াড় দেখা হয়ে গেলে সেক্ষেত্রে ফাইনালে সেরা একাদশেই খেলাবেন জেমি এমনটাই ইঙ্গিত দিলেন, ‘ফাইনালের বিষয়টি এখনো ভাবিনি। ফাইনালে পরিকল্পনা নেপাল ম্যাচ শেষেই করব।’ বাংলাদেশ নেপালকে ২ গোলের ব্যবধানে হারাতে পারলে কিরগিজস্তান হবে ফাইনালের প্রতিপক্ষ। ফাইনালের প্রতিপক্ষ নিয়ে কোনো মন্তব্য নেই কোচের। 

আগামীকালের খেলা: ত্রিদেশীয় আন্তর্জাতিক টুনামেন্ট
                               নেপাল বনাম বাংলাদেশ
                               দশরথ স্টেডিয়াম
                               বিকেল পৌনে ছয়টা (বাংলাদেশ সময়)
                               সরাসরি সম্প্রচার টি স্পোর্টস

এজেড/এমএইচ