মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব /ছবি: বাফুফে

লিগের প্রথম পর্বটা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেড পার করেছে ভালো-মন্দের মিশেলে। ১২ ম্যাচ শেষে আছে ষষ্ঠ অবস্থানে, শীর্ষ চার থেকে আছে তিন পয়েন্টের দূরত্বে। এ অবস্থায় আক্রমণের ধার বাড়াতে তরুণ এক অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারকে দলে ভিড়িয়েছে দলটি। মধ্যবর্তী দলবদলে দলে এনেছে ইয়াসান উওচিংকে।

ইয়াসানের সঙ্গে মোহামেডানের চুক্তি হয়ে গেছে। শুক্রবার তিনি ক্লাবেও চলে এসেছেন। ক্যামেরুনিয়ান এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার সর্বশেষ খেলেছেন মিয়ানমার জাতীয় লিগে। জোয়েকাপিন ইউনাইটেডের হয়ে তিনি ১৩টি লিগ ম্যাচ খেলে করেছেন ৬টি গোল।

ক্লাবটির দলনেতা আবু হাসান চৌধুরী প্রিন্স ঢাকাপোস্টকে জানিয়েছেন, দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার আগে করোনাভাইরাস পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে তাকে। সেখানে নেগেটিভ এলে তবেই অনুশীলনে নামতে পারবেন কোচ শন লেনের নতুন এই শিষ্য। প্রিন্সের ভাষ্য, ‘প্রথমে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা হবে ইয়াসানের। সে এখন আছে ক্লাবেই, পরীক্ষা আজই করানো হবে। করোনা নেগেটিভ হলেই দলের সঙ্গে অনুশীলনে যোগ দেবেন।’

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের নিয়মে সর্বোচ্চ চার বিদেশিকে খেলাতে পারবে দলগুলো। ইয়াসানের আগমনে মোহামেডানে বিদেশির সংখ্যা হয়ে গিয়েছিল পাঁচ। তাই এক বিদেশিকে ছাড়তে হয়েছে মোহামেডানকে। নাইজেরিয়ান মিডফিল্ডার আবিওয়ালা নুরাতকে ছেড়ে দিয়েছে সাদা-কালোরা।

শুধু ইয়াসানকে দলে এনেই ক্ষান্ত হচ্ছে না মোহামেডান। বসুন্ধরা কিংস মিডফিল্ডার রবিউল হাসানকেও দলে ভেড়াচ্ছে দলটি। লিগ চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরার সঙ্গে তাদের কথা এগিয়ে গেছে অনেকটাই। তবে এখনো রবিউল মোহামেডানে যোগ দিচ্ছেন না শারীরিক অসুস্থতার কারণে। সম্প্রতি চিকেনপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। এ থেকে সুস্থ হলেই তাকে বসুন্ধরা থেকে দলে ভেড়ানোর কাজটা সম্পন্ন করবে মোহামেডান, জানিয়েছেন প্রিন্স।

এনইউ/এজেড