বঙ্গবন্ধু সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ ও কুয়েতের মধ্যে চলছে প্রথম সেমিফাইনাল। নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ম্যাচের স্কোরলাইন গোলশূন্য ড্র হয়েছে। ফলে ফাইনালে ওঠার লড়াইটি এখন অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে গড়িয়েছে।

বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচ খেলছে অনেকদিন পর। বিগত সাফগুলোতে বাংলাদেশ নক-আউটপর্বেও যেতে পারেনি। সাফের টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ সর্বশেষ অতিরিক্ত সময়ে খেলেছিল ২০০৩ সালে, ঢাকার সেমিফাইনালে। তখন নিয়ম ছিল গোল্ডেন গোল। যে দল আগে গোল করবে তারাই জিতবে। সেবার মতিউর মুন্নার গোলে বাংলাদেশ ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল।

সাফের সেই সেমিফাইনালের পর বাংলাদেশ জাতীয় দল এরপর খুব বেশি ম্যাচে অতিরিক্ত সময় খেলার রেকর্ড নেই। যদিও জুনিয়র পর্যায়ে কয়েকটি টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ অতিরিক্ত সময়ে খেলেছে।

কুয়েতের বিপক্ষে বাংলাদেশ নব্বই মিনিট দুর্দান্তভাবে লড়াই করেছে। প্রথমার্ধের মতো দ্বিতীয়ার্ধেও বাংলাদেশ একবার গোল বঞ্চিত হয়েছে। এবার মোরসালিনের বাড়ানো বলে রাকিব বক্সে প্রবেশ করে কোনাকুনি শট নেন। ক্রসবারে লেগে বল বাইরে দিয়ে চলে যায়। আরেকবার হতাশ হয় বাংলাদেশ।

কুয়েত গোল না পেলেও মুহুর্মুহু আক্রমণ করেছে। বাংলাদেশের গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো দুর্দান্ত কয়েকটি সেভ করেছেন। আবার অনেক সময় ভাগ্যও বাংলাদেশকে সহায়তা করেছে। কিছু শট পোস্টের ওপর এবং বাইরে দিয়ে গেছে, যেগুলো পোস্টে থাকলে গোল হজম করতে হতো বাংলাদেশকে।

এজেড/এএইচএস