১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখের দিনে সাধারণ সম্পাদক ইস্যুতে উত্তাল ছিল গোটা ক্রীড়াঙ্গন। ফিফা বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে। এর তিন দিন পরেই সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের ব্যক্তিগত সহকারী ইমরান হোসেন তুষারকে তিন থেকে ছয় মাসের জন্য ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয় ফেডারেশন। 
 
ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের মেয়াদ আজকের সভায় বর্ধিত হয়েছে। আগামী বছর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাকে দায়িত্ব দিয়েছে বাফুফের বোর্ড। ১৭ এপ্রিল নির্বাহী কমিটির সভায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সাধারণ সম্পাদক নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সেই সিদ্ধান্ত থেকে আজ সরে এসেছে বাফুফে। তাই বোর্ড সভায় আজ (বুধবার) ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের এভাবে মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে কয়েকজন আপত্তিও তুলেছিল। পরবর্তীতে অবশ্য সেই আপত্তি আর টেকেনি। এছাড়াও বাফুফের সেই প্রতিবেদনে আবু নাইমের সোহাগকে দোষী চিহ্নিত করা হয়েছে। 

সাধারণ সম্পাদক সোহাগের কান্ডে বাফুফে তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল প্রায় পাঁচ মাস আগে। সেই তদন্ত কমিটি ৩১ জুলাই প্রতিবেদন সভাপতির কাছে দেয়। দুই মাস পর আজ বাফুফে সভা করলেও তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। যদিও বাফুফে সভাপতি তদন্ত রিপোর্টটি কমিটির সবাইকে দিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কমিটির সবাইকে রিপোর্ট দেয়া হয়েছে। রিপোর্ট পড়ে সবার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হবে। ’

সভায় উপস্থিত অনেকের মাধ্যমে জানা গেছে, সভার মতামত পাওয়ার পর এটি আবার পরবর্তী সভায় এজেন্ডা আকারে উথাপন হতে পারে। ফলে তদন্ত প্রতিবেদন বাস্তবায়নে আরো দীর্ঘসূত্রিতার আভাস। তদন্ত রিপোর্টে ফিফার প্রতিবেদনে যারা অভিযুক্ত তাদের শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে আবু হোসেন ও মিজান ফেডারেশন ত্যাগ করেছে। প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার আগেই তারা কেন ত্যাগ করল এই প্রশ্নও উঠেনি আজকের সভায়। 

উল্লেখ্য, সোহাগ-কাণ্ডে গঠিত বাফুফের তদন্ত কমিটি তিনজনের বিরুদ্ধে সরাসরি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে। তারা হলেন ম্যানেজার অপারেশন মিজানুর রহমান, সহকারী প্রধান অর্থ কর্মকর্তা অনুপম সরকার ও প্রধান অর্থ কর্মকর্তা আবু হোসেন। 

এর মধ্যে আবু ও মিজান বাফুফের চাকরি ছেড়ে চলে গেছেন গত ২২ জুলাই। এ ছাড়া বাফুফের গ্রাসরুট ম্যানেজার হাসান মাহমুদ ও ম্যানেজার কম্পিটিশন জাবের বিন তাহের আনসারীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছে কমিটি।

বাফুফের সহসভাপতি কাজী নাবিল আহমেদের নেতৃত্ব আড়াই মাসের বেশি সময়ে ১০টি সভা শেষে প্রতিবেদন তৈরির কাজ শেষ করে তদন্ত কমিটি। দীর্ঘ ২ মাস ২৩ দিন পর তদন্ত কমিটি বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের কাছে প্রতিবেদন দিয়েছিল গত ৩১ জুলাই। অবশেষে ৬৫ দিন পর আজ বাফুফের নির্বাহী কমিটির সভায় প্রতিবেদনটি পেশ করেছেন কাজী সালাউদ্দিন। 

এজেড/জেএ