বাংলাদেশ ফুটবল দল অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে খেলার সুযোগ পায় কালেভদ্রে। ২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে খেলেছিল বাংলাদেশ। আবার আট বছর পর এবার আরেকবার আরেকটি বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ড্রয়ে একই গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ।

২০১৫ সালে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের ম্যাচটি ছিল পার্থে। এবার অস্ট্রেলিয়া হোম ম্যাচ আয়োজন করেছে মেলবোর্নে। আট বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশ দলে পরিবর্তন এসেছে ব্যাপক। শুধুমাত্র জামাল ভূইয়া ও সোহেল রানাই রয়েছেন সেই দলে খেলা ফুটবলারদের মধ্যে। মেলবোর্ন সফরে আসা বাকি ২১ জনেরই প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়া সফর।

২০১৫ সালে পার্থের ম্যাচে একাদশে ছিলেন ডিফেন্ডার তপু বর্মণ। আট বছর পর এখন তিনি সিনিয়র ফুটবলার। মদ কান্ডে ক্লাব থেকে নিষিদ্ধ থাকায় এবার জাতীয় দলে ডাক পাননি। এছাড়া পার্থে খেলা অনেক ফুটবলারই ইতোমধ্যে ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে।

সেই ম্যাচে অধিনায়কত্ব করা মামুনুল, এমিলি এখনো ঘরোয়া লিগ খেললেও অবসরের দোড়গোড়ায়। রায়হান, ইয়াসিন খান,ইমন বাবু, জাহিদ হোসেন, মোনায়েম রাজুরা এখন জাতীয় দলে ডাক পান না। পার্থ স্কোয়াডে থাকা আতিকুর রহমান মিশু, কোমল মজুমদার এখন কোচিংয়ে। সেই ম্যাচের স্ট্রাইকার এনামুল হক এখন রাজনীতির ময়দানে ব্যস্ত।

মিডফিল্ডার সোহেল রানা পার্থ স্কোয়াডে থাকলেও তিনি খেলতে পারেননি। কোচ সাইফুল বারী টিটু সেই ম্যাচে তিনটি পরিবর্তন করেছিলেন। একাদশের বাইরে থাকা সোহেল সেই ম্যাচে নামতে পারেননি। বর্তমান অধিনায়ক জামাল ভূইয়া অবশ্য সেই ম্যাচ পুরো ৯০ মিনিটই খেলেছেন।

পার্থে বাংলাদেশ ০-৫ গোলে হেরেছিল। ফিরতি লেগে ঢাকায় অস্ট্রেলিয়া ০-৪ গোলে জিতেছিল।


২০১৫ সালে পার্থ ম্যাচে বাংলাদেশ স্কোয়াড: শহিদুল আলম সোহেল ( গোলরক্ষক ), তপু বর্মণ, ইয়েসিন খান, জামাল ভূইয়া, এনামুল হক (আব্দুল বাতেন কোমল ), মামুনুল ইসলাম, জাহিদ হাসান এমিলি, হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাস (মোনায়েম খান রাজু ), নাসিরুল ইসলাম নাসির ( ইয়েমিন মুন্না ), লিংকন ও জুয়েল রানা।

এজেড/এইচজেএস