একদিকে বাফুফে, অন্যদিকে চার ক্লাব
আব্দুস সালাম মুর্শেদী
অনেকটা তড়িঘড়ি করেই বাফুফের পেশাদার লিগ কমিটি ৩০ এপ্রিল থেকে লিগের দ্বিতীয় লেগ শুরু করতে চাইছে। গতকাল বাফুফে থেকে লিগ শুরু করার জন্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও লিগ কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুর্শেদী নিজেও কথা বলেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের সঙ্গে।
মন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি তাকে সামগ্রিক বিষয়টি বুঝিয়ে বলেছি, তিনি ইতিবাচক মনোভাবই পোষণ করেছেন। আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের শীঘ্রই জানাবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।’
বিজ্ঞাপন
লকডাউন শেষ হওয়ার সাত দিন পর খেলা শুরু হবে। এই অবস্থান থেকে সরে আসার কারণ সম্পর্কে লিগ কমিটির চেয়ারম্যানের বক্তব্য, ‘সারা বিশ্বেই এই করোনা পরিস্থিতির মধ্যে স্বাস্থ্য বিধি মেনে খেলা চলছে। সামনে ঈদুল ফিতর, এএফসি কাপ ও জাতীয় দলের ম্যাচ। এই তিনটি বিষয় বিবেচনা করেই আমরা ৩০ এপ্রিল খেলা শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
২৮ এপ্রিলের পরও লকডাউন বর্ধিত হলে এর মধ্যেও খেলা চালানোর জন্য অনুমতি চেয়েছে বাফুফে, ‘২৫ তারিখ থেকে সম্ভবত দোকানপাট খুলে দেয়ার কথা। আরো অনেক বিষয় শিথীলতা আসছে। লকডাউন বর্ধিত হলেও আমরা স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ করে খেলার আয়োজনের অনুমতি চেয়েছি।’
বিজ্ঞাপন
ব্রাদার্স ইউনিয়ন, আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ সভায় ৩০ এপ্রিল লিগ শুরুর ব্যাপারে আজ (বৃহস্পতিবার) সভাতেই ভেটো দিয়েছে। চট্টগ্রাম আবাহনী বড় মাঠে অনুশীলন করার জন্য কিছু দিন সময় চেয়েছে। উত্তর বারিধারা ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রও ৩০ এপ্রিল খেলার পক্ষে না।
এরপরও এপ্রিলেই দ্বিতীয় লেগ শুরুর সিদ্ধান্তের ব্যাপারে লিগ কমিটির চেয়ারম্যানের ব্যাখ্যা, ‘সর্বসম্মতিক্রমে লিগ শুরুর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলব না, অধিকাংশের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ১৩ ক্লাবের মধ্যে দুই তিনটি ক্লাব বাদে বেশিরভাগই দ্রুত খেলার পক্ষে। ফলে আমাদের অধিকাংশের দিকেই যেতে হয়েছে।’
৩০ এপ্রিল খেলা শুরু হয়ে বেশিদিন চলবে না। খসড়া ফিকশ্চার অনুযায়ী ১০ মে পর্যন্ত চলবে লিগ। এরপর এএফসি কাপ ও জাতীয় দলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের জন্য আবার এক মাসের বেশি সময়ের বন্ধ। ঈদের আগে তিন রাউন্ডের বেশি ম্যাচ আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না বাফুফের পক্ষে।
লিগের বর্তমান খসড়া ফিকশ্চার অনুযায়ী ৭ আগস্ট শেষ হয় লিগ। এটিকে ৩০ বা ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সমাপ্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান সালাম মুর্শেদী, ‘আগস্ট মাসে চলে গেলে লিগটি অনেক ক্লাবের বিদেশিদের এক মাস বেশি বেতন দিতে হয়। এজন্য চেষ্টা হচ্ছে জুলাইয়ের মধ্যে শেষ করার। জুনে জাতীয় দল খেলে আসার পর আমরা দ্রুত ম্যাচ দেব।’
এজেড/এটি