পেনাল্টিতে গড়াল আর্জেন্টিনা-ইকুয়েডর ম্যাচ
হিউস্টনে আর্জেন্টিনার সমর্থকরা যখনই জয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তখনই যেন এলো ধাক্কা। যোগ করা সময়ের ১ম মিনিটে জন ইয়াবোয়াহর ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে ইকুয়েডরকে সমতায় ফেরান কেভিন রদ্রিগেজ। ১-১ গোলের সমতায় শেষ হলো নির্ধারিত নব্বই মিনিটের খেলা। কোপা আমেরিকার নিয়ম মেনে ম্যাচ চলে যাবে সরাসরি পেনাল্টি শ্যুটআউটে।
পুরো ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে ভুগতে হয়েছিল ইকুয়েডরের ঝটিকা আক্রমণের সামনে ভুগতে হয়েছিল আর্জেন্টিনাকে। প্রথমার্ধে একাধিকবার দল বিপদের মাঝে পড়লেও লিসান্দ্রো মার্টিনেজের গোলে স্বস্তির এক লিড পেয়ে যায় তারা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের একেবারে শেষে এসে গোল হজম করতেই হলো আলবিসেলেস্তেদের। পুরো ম্যাচেই ইকুয়েডরের লং বলের সামনে বিপাকে পড়েছিল আর্জেন্টিনা। শেষ পর্যন্ত বিপদটাও হলো সেখানেই।
বিজ্ঞাপন
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ম্যাচের দৃশ্যপট দখলে নেয় ইকুয়েডর। এসময়ে দৃশ্যত এগিয়ে ছিল ইকুয়েডর। আর্জেন্টিনা যেখানে পুরো ৪৫ মিনিটে একবারই কেবল গোলে শট নিয়েছে, সেখানে বারবার আলবিসেলেস্তেদের ডিবক্সে হানা দিয়েছিল এনার ভ্যালেন্সিয়া-ময়সেস কেইসেডোরা। ম্যাচের ৬২ মিনিটে সমতায় ফিরতে পারত তারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এনার ভ্যালেন্সিয়ার পেনাল্টি ফিরে আসে বার থেকে।
বিজ্ঞাপন
আর্জেন্টিনাকে এরপর আক্রমণে কিছুটা ব্যস্ত হতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু সেটা হতাশাই বাড়িয়েছে শুধু। আর্জেন্টিনার হয়ে ৬৭ মিনিটে লিওনেল মেসিকে একটা শটই নিতে দেখা গিয়েছিল। গোলের সন্ধানে লাউতারো মার্টিনেজকে উঠিয়ে নামানো হয় হুলিয়ান আলভারেজকে। যদিও তাতে খুব একটা লাভ হয়নি আলবিসেলেস্তেদের।
আক্রমণভাগের এই দূর্বলতা নিশ্চিতভাবেই পরের ম্যাচে ভাবাবে কোচ লিওনেল স্কালোনিকে। রক্ষণভাগ আর মাঝমাঠে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স উপহার দিলেও হতাশা বাড়িয়েছে আর্জেন্টিনার ফ্রন্টলাইন।
জেএ