এলিট একাডেমি পর্যালোচনা করবে বাফুফে
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের দীর্ঘদিন নিজস্ব একাডেমি ছিল না। বছর তিনেক আগে কমলাপুর স্টেডিয়ামে এলিট একাডেমি নামে যাত্রা শুরু হয়। নামের আগে এলিট যোগ করলেও শব্দ দূষণ, আবাসনসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত একাডেমি। বাফুফের নব নির্বাচিত কমিটির ডেভলপমেন্ট কমিটির প্রথম সভায় বাফুফে একাডেমির কর্মকান্ড ও বিভিন্ন বিষয় পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সভা শেষে কমিটির চেয়ারম্যান ও বাফুফের অন্যতম সহ-সভাপতি নাসের শাহরিয়ার জাহেদী বলেন, 'আমরা চার সদস্যের একটি কমিটি করেছি (শফিকুল ইসলাম মানিক, ছাইদ হাসান কানন, বিকেএসপি পরিচালক প্রশিক্ষণ, সামিদ কাশেম)। এই কমিটি একাডেমি সংক্রান্ত বিষয়াদি পর্যালোচনা করে পরবর্তী মিটিংয়ে উপস্থাপন করবে। এর প্রেক্ষিতে আমরা একাডেমি পরিচালনা ও অন্যান্য বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।’
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশে ফুটবল অন্যতম জনপ্রিয় খেলা। অথচ ফুটবলে একাডেমি সংস্কৃতি সেভাবে গড়ে উঠেনি। বাফুফের একাডেমী, যশোরের শামসুল হুদা একাডেমি ও বিকেএসপি ছাড়া সেভাবে প্রাতিষ্ঠানিক উন্নত ফুটবল চর্চার প্রশিক্ষণ হয়নি। বাফুফের ডেভলপমেন্ট কমিটি একাডেমিগুলোর মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক উন্নয়ন করতে চায়, 'আমরা অবশ্যই একাডেমীগুলোর মধ্যে সম্পর্ক বৃদ্ধি করব। এটি আমাদের গুরুত্বের তালিকায় রয়েছে।'
বাংলাদেশের ফুটবল উন্নয়নে অন্যতম বাধা হিসেবে আখ্যায়িত হয় অর্থ। ফিফা-এএফসির ফান্ড ছাড়া বাফুফে নিজস্ব উদ্যোগে সেভাবে ব্যয় করতে পারে না। বাফুফের বর্তমান ডেভলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান জাহেদী নিজেদের উদ্যোগেই এগিয়ে যেতে চান, 'ফিফা-এএফসি সহায়তাকারী হিসেবে থাকবে। আন্তর্জাতিক সহায়তার জন্য আমরা থেমে থাকব না। নিজস্ব উদ্যোগেই কাজ চলমান থাকবে।'
বিজ্ঞাপন
ফুটবলে উন্নত বিশ্বের ৮-১০ বছর বয়সেই একাডেমিতে শিশুরা ফুটবল শেখা শুরু করে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সেটা ১৫-১৬ বছর বয়সে হয়। বয়স সীমা কমিয়ে আনা যায় কিনা এই বিষয়ে জাহেদী বলেন, 'অন্তত ১২ বছর বয়স থেকে একাডেমি কার্যক্রম শুরু হওয়া প্রয়োজন। এটা আমরা অনুধাবন করি। তবে বাস্তবতার নিরিখে আমাদের একটু বেশি বয়স থেকে শুরু করতে হয়। ভবিষ্যতে আমরা চেষ্টা করব আরো নিচ থেকেই শুরু করতে।'
বাংলাদেশের ফুটবলে অন্যতম অপসংস্কৃতি বয়স চুরি। সেই বয়স চুরি রোধেও এই কমিটি ভূমিকা রাখতে চায়। সামনে বাংলাদেশের কয়েকটি বয়স ভিত্তিক টুর্নামেন্ট রয়েছে। সেই টুর্নামেন্টেই সুনির্দিষ্ট বয়সের খেলোয়াড়দেরই চিহ্নিত করার অঙ্গীকার ডেভলপমেন্ট কমিটির,‘ আমরা অবশ্যই বয়সকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখব। মেডিক্যালের বিষয়টি আমরা প্রাধান্য দেব। যাতে প্রকৃত বয়সধারীরাই খেলতে পারে এবং প্রকৃত উন্নতি দৃশ্যমান হয়।'
এজেড/এইচজেএস