দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদক। বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল এবার সেই পদকের জন্য মনোনীত। গতকাল সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়েছে। 

ক্রীড়াঙ্গন থেকে কোনো দলের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি এবারই প্রথম। একুশে পদকে ক্রীড়া খাত থেকে সরাসরি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ইতোপূর্বে পাননি (২০০৩ সালে প্রখ্যাত ধারাভাষ্যকার ও ক্রীড়াবিদ আব্দুল হামিদ সাংবাদিকতায়)। নারী ফুটবল দলের এমন স্বীকৃতি শুধু ফুটবল নয় ক্রীড়াঙ্গনের জন্যও দারুণ ব্যাপার। 

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর নানা মাধ্যমে নারী ফুটবলারদের শুভেচ্ছা-অভিনন্দন জানানো হয়। ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাফুফেকে থেকে এখনো নারীদের এই অর্জন বা প্রাপ্তি নিয়ে অভিনন্দনমূলক আনুষ্ঠানিক বার্তা দেওয়া হয়নি। 

যদিও গতকাল বাফুফের বিশেষ কমিটির সভা শেষে ফেডারেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইমরুল হাসান এই পদক প্রাপ্তিকে শুধু ফুটবল নয়, যে কোনো স্পোর্টসের জন্য বড় বিষয় হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন গণমাধ্যমে। বাফুফে বিলম্ব করলেও দেশের অন্যতম শীর্ষ ক্লাব বসুন্ধরা কিংস অবশ্য তাদের অফিসিয়াল পেজে সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ছাদ খোলা বাসের ছবি দিয়ে একুশে পদক পাওয়ার জন্য অভিনন্দন জানিয়েছে। 

সমাজের প্রান্তিক পর্যায় থেকে উঠে আসা নারীরা টানা দুই বার দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবল টুর্নামেন্টে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। নারী ফুটবল দল সম্প্রীতির বাংলাদেশের অন্যতম সর্বোৎকৃষ্ঠ উদাহরণ। বৃহত্তর বাঙালি জনগোষ্ঠীর সঙ্গে চাকমা, মারমা, সাঁওতাল, গারো ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সম্মিলনের দারুণ এক পরিবার। নারী ফুটবল দলের এই সাফল্য ও অর্জনের পেছনে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের ভূমিকা রয়েছে ব্যাপক। ২০১৫ সাল থেকে নিয়মিত ক্যাম্পে রাখার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগ করে দিয়েছে ফেডারেশন। 

এজেড/এফআই