বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল আজ (মঙ্গলবার) বিকেলে জাতীয় নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সভাপতির কক্ষে প্রায় ১৫-২০ মিনিট দুই জনের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের একাধিক কর্মকর্তাও। 

১৮ জন নারী ফুটবলার ব্রিটিশ কোচ পিটার বাটলারকে বয়কট করে চলছেন। বাফুফে বাটলারকেই নারী ফুটবল দলের কোচ রাখার ব্যাপারে অনড়। নারী দলের এই ব্রিটিশ কোচকে কড়াকড়ি পর্যবেক্ষণে রাখার আশ্বাস দিয়ে সাবিনাদের অনুশীলনে ফেরার অনুরোধ করেছিলেন সভাপতি তাবিথ আউয়াল। বৃহস্পতিবার রাতে সভাপতি আন্দোলনে থাকা প্রত্যেক ফুটবলারের সঙ্গে আলাদাভাবে বসেছিলেন। এরপরও সভাপতির অনুরোধ মানতে পারেননি তারা। এখনও অনুশীলন বর্জন করেই চলছেন। 

এই চার দিনের মধ্যে বাফুফে ৩৬ ফুটবলারের সঙ্গে চুক্তি করেছে। বিকল্প দল নিয়ে আরব আমিরাত যাওয়ার জন্য অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন কোচ পিটার বাটলার। আর সাবিনা-সানজিদা-কৃষ্ণারা ভবনে থেকে শুধু জিম করলেও বাটলারের অনুশীলন এড়িয়ে চলছেন। এমন পরিস্থিতিতে আজ বিকেলে বাফুফে সভাপতি আবারও জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুনকে ডাক দেন। সাবিনা ও তার মধ্যে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বেশ কিছু সময় আলোচনা হয়েছে। দুই জনের বৈঠকের এক পর্যায়ে ফেডারেশনের কয়েকজন কর্মকর্তা সভাপতির কক্ষে প্রবেশ করেন, তখন অবশ্য অন্য স্বাভাবিক বিষয় নিয়ে আলোচনা চলে বলে জানা গেছে।

বাফুফে সভাপতি আগামীকাল আবারও ইংল্যান্ডের উদ্দেশ্যে রওনা হতে পারেন। এর আগে নারী ফুটবল দলের চলমান সংকট, আসন্ন আরব আমিরাত সফরের নির্দেশনা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে আসেনি। এ নিয়ে আজ বাফুফে ভবনে সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসা থাকলেও প্রশ্ন করার সুযোগ দেননি সভাপতি। কিট স্পন্সর অনুষ্ঠানে চুক্তি স্বাক্ষরের পরই ফিফার অডিটের কথা বলে তিনি দ্বিতীয় তলায় চলে যান। 

ঘণ্টা দেড়েক পর বাফুফে ভবন ত্যাগ করার সময় সাংবাদিকরা আবারও ঘিরে ধরেন তাকে। তখন বিমানবন্দরে যাচ্ছেন বলে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য দেননি। এরপর যোগাযোগ করা হলে এটি গোপনীয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা এসব আলোচনা ও যোগাযোগ সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত পর্যায়েই রাখছি।’ সামগ্রিক সংকট থেকে উত্তরণের আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘এখানে কোনো ফাইনাল বা চূড়ান্ত রেখা টানার কিছু নেই। আমাদের কার্যক্রম/ব্যস্ততা (সংকট উত্তরণে) চলমান রয়েছে। আমরা সবাই শিগগিরই বন্ধুত্বপূর্ণ সমাধানে পৌঁছাব।’ 

এজেড/এএইচএস