একুশে পদক অনুষ্ঠানে না যাওয়ার কারণ জানালেন বাটলার
আগামীকাল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে যাচ্ছে। সেই সফর উপলক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলন হলেও একুশে পদকে কোচের না যাওয়া এবং ম্যানেজারের ওপর কোচের কর্তৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সাফ চ্যাম্পিয়ন নারী দল একুশে পদক পেয়েছে। সেই দলের অন্যতম অংশ হেড কোচ বৃটিশ পিটার বাটলার। বাংলাদেশ বাটলারকে সম্মান দেখালেও তার অনুপস্থিতির বিষয়টি প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। ফেডারেশনের নারী উইংয়ের প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণ এ নিয়ে কোনো উত্তর দিতে পারেননি, 'আমি দেশের বাইরে ছিলাম। কেন সে যায়নি এটা সরাসরি তাকেই (কোচ) জিজ্ঞেস করেন।’
বিজ্ঞাপন
কোচকে পরবর্তীতে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'কয়েকটি কারণ আছে না যাওয়ার। প্রথমত সকাল ছয়টায় আমাকে এই আমন্ত্রণ দেয়া হয়েছে। এরপর নয়টা পর্যন্ত অনুশীলন করে ক্লান্তও ছিলাম। তাছাড়াও আমি কিছুটা ফ্লুতে (জ্বর) আক্রান্ত ছিলাম।’ কোচ আজ আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করলেও কিছু দিন আগে গণমাধ্যমে অবশ্য বলেছেন ভিন্ন কথা। সাবিনারা যেন এই অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারে এজন্য নাকি তিনি যাননি।
আজ আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে যে কারণ দেখিয়েছেন সেটা উল্টো ফেডারেশনকে প্রশ্নের মধ্যে ফেলেছে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় বাফুফেকে ৪৮ ঘন্টা আগেই আমন্ত্রণপত্র দিয়েছে। সেই আমন্ত্রণ কোচ অনুষ্ঠানের দিন সকালে পাবে কেন? বাফুফের বেতনভুক্ত সাধারণ সম্পাদকের অধীনে বাফুফে স্টাফরা প্রশ্নের মধ্যে পড়ছেন। ঐ দিন অনুশীলন করে সহকারী কোচ মিরনা ও অন্য আট জন ফুটবলার অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন। তারা হতে পারলে কোচ বাটলার কেন পারলেন না? আবার তিনি ফ্লু নিয়ে অনুশীলন করাতে পারলেও রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে কেন গেলেন না সেটা বিস্ময়করই। পুরো দল অনুষ্ঠানে উপস্থিত না করতে পারাটা দিন শেষে বাফুফের ব্যর্থতাই।
বিজ্ঞাপন
সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশ নারী দলের ম্যানেজার হয়ে যাচ্ছেন মাহমুদা আক্তার অনন্যা। তাকে ম্যানেজার করা হলেও মূলত তিনি সহকারী কোচ (সরকারি আদেশে সহকারী কোচই)। বাটলারের কোচিং স্টাফ। একজন ম্যানেজার খেলোয়াড়দের পাশাপাশি কোচের শৃঙ্খলা-গতিবিধিও পর্যবেক্ষণ করেন। সেই ম্যানেজার যদি কোচিং স্টাফেরই অংশ হন তাহলে কি আর কোচ নিয়ে পর্যবেক্ষণ দিতে পারেন? এ প্রশ্নের উত্তরে কিরণ বলেন, 'আমরা নারী দলে নারী ম্যানেজার রাখতে চেয়েছি। এজন্য এই পরিবেশের সঙ্গে পরিচিত এমন একজনকেই ম্যানেজারের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।'
নারী দলে নারী ম্যানেজারের দাবি অনেক আগে থেকেই ছিল। কিরণ সেই দাবী তোয়াক্কা না করে আমিরুল ইসলাম বাবুকে দিনের পর দিন ম্যানেজার রেখেছেন। আবার ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটির সদস্য টিপু সুলতান দলনেতাও ছিলেন। সফর শেষে ম্যানেজার-দলনেতার প্রতিবেদন জমা দেয়ার সংস্কৃতি বাফুফেতে নেই। যদিও কিরণের দাবি তারা নাকি প্রতিবেদন দেন।
এজেড/এইচজেএস