মামুনুল ইসলাম/ফাইল ছবি

ভারতের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলে জাতীয় দল থেকে অবসর নিতে চেয়েছিলেন দেশের অন্যতম ফুটবল তারকা মামুনুল ইসলাম৷ জাতীয় দলের কাতার সফরে ডাক না পাওয়ায় তার ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলে অবসর নেয়া হচ্ছে না। কয়েক বছর জাতীয় দলে অধিনায়কত্ব করা মামুনুল নিজের অবসর প্রসঙ্গে বলেন, ‘সামনে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত কোনো ফিফা প্রীতি ম্যাচে দেশের সমর্থক,পরিবার সবার সামনে জাতীয় দল থেকে অবসর নিতে চাই।’

ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলে অবসর যেতে না পারায় অখুশি নন মামুনুল, ‘ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ম্যাচটি ছিল কিন্তু আমাদের হোম ম্যাচ। আমার ইচ্ছে ছিল ঢাকায় বাংলাদেশ-ভারত বিশ্বকাপ ম্যাচ দিয়ে অবসরে যাওয়ার।  করোনা পরিস্থিতিতে এখন ম্যাচটি কাতারে হচ্ছে। বিদেশের মাটিতে অবসর নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল না।’

বাংলাদেশ এখন বছরে ৫-৬ টি ফিফা প্রীতি ম্যাচ খেলে। নিজেরাও স্বাগতিক হয়। ফিফা প্রীতি ম্যাচে অবসর নিতে হলেও জাতীয় দলে জায়গা করে নিতে হবে৷ জাতীয় দলে সেই জায়গা করে নিতে লিগের বাকি ম্যাচগুলোর জন্য অপেক্ষায় মামুন , ‘হাতের ও মাসল ইনজুরির জন্য আমার খারাপ সময় গেছে। দ্বিতীয় লেগে এখনো অনেক ম্যাচ বাকি। আমি বাকি ম্যাচগুলোতে নিজের সেরাটা দেয়ার আশা রাখি।’

২০০৭ সালে জাতীয় দলে অভিষেক হয় মামুনুলের। এক যুগের বেশি সময়ের ক্যারিয়ার। জাতীয় দলে অধিনায়কত্ব করেছেন বেশ কয়েক বছর। দেশের জার্সিতে সম্মানজনক বিদায় প্রত্যাশা এই কুশলি মিডফিল্ডারের, ‘প্রায় ১৪ বছর জাতীয় দলের সঙ্গে যুক্ত। দেশকে সার্ভিস দিয়েছি। আশা করি কর্তৃপক্ষ (ফেডারেশন) আমাকে সম্মানজনকভাবে বিদায় দেবে।’ 

২০১৯ সালে ভারতের সল্টলেকে ১-১ গোলে ড্র হওয়া ম্যাচে ছিলেন মামুন। পরশু দিনের ম্যাচেও জামালদের কাছে ভালো প্রত্যাশা তার, ‘আফগানদের সঙ্গে ড্র করায় আমাদের দলের মানসিক অবস্থা চাঙা। চাপহীন ও ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে আমরা পজিটিভ খেলব আশা করি।’  

জাতীয় দল থেকে সহসা অবসর নিলেও আরো কয়েক বছর ক্লাব ফুটবল খেলতে চান মামুনুল। 

এজেড/এটি/এনইউ