ছবি: বাফুফে

বড় বাজেট, পেশাদারিত্ব সবই ছিল সাইফ স্পোর্টিংয়ের। ছিল না কেবল সাফল্য। এবার সেই সাফল্যের মঞ্চে উঠল সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। কখনো খেলা হয়নি ফাইনালেও। সে আক্ষেপ ঘুঁচলো এবার। ওয়ালটন ফেডারেশন কাপের প্রথম সেমিফাইনালে চট্টগ্রাম আবাহনীকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে বেলজিয়ান কোচ পল পুটের সাইফ।

করোনার মধ্যেও গ্যালারিতে হাজির হয়েছিলেন শ-দুয়েক সমর্থক। তাদের উচ্ছ্বাস, উল্লাস আর করতালি; সবই ছিল সাইফের জন্য। খুব বেশিক্ষণ অপেক্ষাও করতে হয়নি সাইফকে গোলের জন্য। ম্যাচের আট মিনিটের মাথায় ফ্রি কিক পায় সাইফ। কিন্তু সেই শট আটকে যায় মানবপ্রাচীরে। চট্টগ্রাম আবাহনী ডিফেন্ডারদের ফাঁকে বল পেয়ে যান সাইফের নাইজেরিয়ান ফুটবলার এমানুয়েল। তার সামনে তখন কেবল আবাহনী গোলরক্ষক। ভুল করেননি এমানুয়েল (১-০ )।

এরপর প্রথমার্ধের বাকি সময়ে বল ছুঁটেছে মাঠের এই প্রান্ত থেকে ওই প্রান্ত। কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা আর পাওয়া যায়নি। ম্যাচে সমতায় ফেরার চেষ্টা করেছিল মারুফুল হকের শিষ্যরা। তবে ফাইনাল থার্ডে এসেই যেন খেই হারাচ্ছিল সেগুলো। ২৮ মিনিটে ভালো একটি সুযোগ এসেছিল চট্টগ্রাম আবাহনীর সামনে। তবে এক ডিফেন্ডারের বাধা অতিক্রম করে গোল করতে পারেননি রাকিব।

প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে রাশেদ হোসেন বিপ্লব বল পেয়ে গিয়েছিলেন বক্সের মধ্যে। প্রথমে বল মারেন ডিফেন্ডারদের গায়ে। ফিরতি শটেও জোর ছিল না। সহজেই বল ধরেন সাইফের গোলররক্ষক। দ্বিতীয়ার্ধের চার মিনিটের সময় নাগোকি এর পাসে ভালো সুযোগ পেয়েছিলেন আরিফুর রহমান। কিন্তু সেটিকে গোলে পরিণত করতে পারেননি তিনি।

৬১ মিনিটে একেবারে গোলপোস্টের সামনে বল পেয়েছিলেন চার্লস দিদিয়ের। কিন্তু বল জালে জড়াতে পারেননি তিনিও। জয় নিশ্চিতের গোলের খোঁজে মরিয়া সাইফ, পেয়ে যায় সেটাও। ৭১ মিনিটে আরিফুর রহমানের ক্রস থেকে বল পেয়ে দারুণ দক্ষতায় দুই ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে গোল করেন নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড নাগাউকি (২-০)।

এরপরই ঘটে এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। সাইফ ফুটবলার আল আমিনকে ফাউল করেন আবাহনীর দিদিয়ের। আহত হয়ে শেষ পর্যন্ত অ্যাম্বুলেন্সে করে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। দ্বিতীয় হলুদ কার্ডের পর লাল কার্ড দেখতে হয় দিদিয়েরকেও। বিষণ্ণ মুখে তার মাঠ ছাড়া আরও দূরে নিয়ে যায় আবাহনীর ফাইনাল খেলার স্বপ্নকে। ভাগ্যও সহায় হয়নি আবাহনীর।

৭৯ মিনিটে রাকিবের শট পোস্টে লাগে আবাহনীর। শেষদিকে ব্যবধানটা আরেকটু বাড়ায় সাইফ। গোলরক্ষককে একা পেয়ে গোল করতে ভুল করেননি ইয়াসির। তিন গোলের বড় জয়ে ইতিহাস গড়ার মঞ্চে পৌঁছায় সাইফ।

এমএইচ/এজেড/এটি