১০ জুন ঢাকায় এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ১-২ গোলে হারে। এক মাস পেরিয়ে গেলেও হামজা-সামিত সোমকে নিয়েও বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের সেই হারের ক্ষত এখনো শুকায়নি। শনিবার বাফুফের জাতীয় দল কমিটির সভার আলোচ্যসূচিতে কোচ ক্যাবরেরা পারফরম্যান্স মূল্যায়ন কিংবা সিঙ্গাপুর ম্যাচের পর্যালোচনা কোনটিই আনুষ্ঠানিকভাবে নেই। এতে বিস্মিত হয়েছেন কমিটির অনেকেই।

১২ জুলাই শনিবার ফর্টিজের বেরাইদে জাতীয় দল কমিটির চতুর্থ সভা অনুষ্ঠিত হবে। এই সভার মূল এজেন্ডা দু’টি। সেপ্টেম্বরের ফিফা উইন্ডোতে জাতীয় দলের ম্যাচ এবং একই সময়ে এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ বাছাই টুর্নামেন্ট। জাতীয় দল কমিটির এই সভা থেকে অনূর্ধ্ব-২৩ দলের কোচ এবং দু’টি ক্যাম্প কবে নাগাদ শুরু হবে এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত আসবে।
বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর ম্যাচ হারের পর ফুটবলাঙ্গন ছাড়াও সাধারণ নাগরিক জীবনেও অনেক আলোচনার জন্ম হয়েছে। বিশেষ করে কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার বিদায়ের দাবি উঠেছিল জোরেশোরে। বাফুফে জাতীয় দল কমিটি সেই ম্যাচের এক মাস পর সভা করলেও আশ্চর্যজনকভাবে কোচ মূল্যায়ন কিংবা সেই ম্যাচের পর্যালোচনার বিষয়টি আনুষ্ঠানিক এজেন্ডায় রাখেনি। যদিও বিবিধ অংশে উন্মুক্তভাবে যে কোনো ইস্যুতে আলোচনার সুযোগ রয়েছে কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুটি এজেন্ডা আকারেই থাকা উচিত ছিল বলে মন্তব্য ফেডারেশন সংশ্লিষ্ট অনেকের।

জাতীয় দল কমিটির চেয়ারম্যান বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল নিজেই। তিনি আমেরিকা সফর থেকে ফিরেই কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার সঙ্গে দিন চারেক আগে আলোচনায় বসেছিলেন। সেখানে সিনিয়র সহ-সভাপতি, এক সহ-সভাপতি ও নির্বাহী কমিটির তিন জন সদস্য ছিলেন। সেখানে সিঙ্গাপুর ম্যাচ পর্যালোচনা ও হংকং ম্যাচের পরিকল্পনা নিয়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হয়েছে। সেই সভার পরের দিনই কোচ আবার স্পেন চলে যান। এতেই নিশ্চিত হয় হ্যাভিয়েরই হংকং ম্যাচে বাংলাদেশ ডাগ আউটে থাকছেন।

সিঙ্গাপুর ম্যাচে বাংলাদেশের এক মাত্র গোল করেছিলেন রাকিব। সেই রাকিবকে আশ্চর্যজনকভাবে রাইটব্যাক পজিশনে নামিয়ে আনেন। যা কোনো ফুটবলীয় যুক্তিতে খাটে না। এ রকম নানা ভুলের জন্য যেখানে তাকে কড়া জবাবদিহিতা আদায় করার কথা সেখানে উল্টো প্রকাশ্যে তার পদত্যাগ চাওয়ায় কমিটির এক সদস্যকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

জাতীয় দল বাফুফের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কমিটি। সেই কমিটির সভা ফেডারেশন ভবনের বাইরে ফর্টিজের বেরাইদে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। মাস দু’য়েক আগে নির্বাহী কমিটির একটি সভাও সেখানে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কমিটির চেয়ারম্যানদের ব্যক্তিগত অফিসে স্ট্যান্ডিং কমিটির সভার রীতি অবশ্য বাফুফেতে রয়েছে। এবার একটু ব্যতিক্রমভাবে জাতীয় দল কমিটির এক সদস্যের ভেন্যুতে কমিটির সভা হচ্ছে। 

এজেড/এইচজেএস