ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার ফুটবল মানেই ছিল আবাহনী-মোহামেডান দ্বৈরথ। কিন্তু ২০১৮ সালে পেশাদার ফুটবলে বসুন্ধরা কিংসের আগমনের পর পাল্টে যায় দৃশ্যপট। ঘরোয়া ফুটবলে আকাশী-নীল জার্সিধারীদের প্রতিদ্বন্দ্বী ঢাকা মোহামেডানের পরিবর্তে এখন বসুন্ধরা কিংস। বৃহস্পতিবার ফেডারেশন কাপের সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে দুই দল। সেই ম্যাচে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী বসুন্ধরা।

২০১৮ সালে ঘরোয়া ফুটবলের সর্বোচ্চ পর্যায়ে এসে ইতোমধ্য ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন ও লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আরেক বার ফেডারেশন কাপ রানার্সআপ। বসুন্ধরা কিংস ও আবাহনী গত দুই বছরে এখন পর্যন্ত তিনবার দেখা হয়েছে। তিনবারের মধ্যে বসুন্ধরা দুটি এবং আবাহনী জিতেছে একটি ম্যাচে। বৃহস্পতিবার সেমিফাইনালে আবাহনী জিতলে হবে সমতা এবং কিংস জিতলে জয়ের ব্যবধান বাড়বে।

বর্তমানে ঘরোয়া ফুটবলে বসুন্ধরা-আবাহনী ম্যাচের উত্তাপ বাকি ম্যাচগুলোর থেকে আলাদা। যেটা আঁচ করা যাচ্ছে কিংসের স্পেনিশ কোচ অস্কার ব্রুজনের কথাতে, ‘আবাহনীর বিপক্ষে সেমিফাইনাল ম্যাচ নিয়ে আমরা উত্তেজিত। আমাদের একটি ভাল ম্যাচ খেলতে হবে এবং একটি জয় পাব বলে বিশ্বাস করি।’

প্রতিপক্ষ আবাহনী সম্পর্কে তার বক্তব্য, ‘তারা বাংলাদেশের ফুটবলে বড় শক্তি। তাদের দিনে যে কোনো কিছুই হতে পারে।’

করোনায় গত মৌসুম পরিত্যক্ত হলেও অন্য সবার চেয়ে প্রস্তুতির দিকে ঢের এগিয়ে অস্কার ব্রুজনের দল। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে চার মাসেরও বেশি সময় অনুশীলন করা কিংসের মূল শক্তি। তাদের তিন লাতিন ফুটবলার; ব্রাজিলের রবসন, জোনাথন এবং আর্জেন্টিনার বেসেরা। এই পর্যন্ত যে ছয় গোল করেছে বসুন্ধরা তার সবগুলোই করেছেন তারা। 

আর্জেন্টাইন ফুটবলার রাউল বেচাররা তিন ম্যাচেই গোলের দেখা পেয়েছে। রবসন দ্যা সিলভা করেছেন দুই গোল। অন্য দিকে মাত্র ১ মাসের প্রস্তুতি নিয়ে ফেডারেশন কাপে অংশ নিয়েছে রেকর্ড ১১ বারের চ্যাম্পিয়ন আবাহনী। তবে সাত ফুটবলার জাতীয় দলের হওয়ায় তারা বাড়তি প্রস্তুতির সুযোগ পেয়েছেন।

এজেড/টিআইএস