বিরতির একটু আগে গোল করেছিলেন। করলেন বিরতির পরেও। তবে প্যাট্রিক শিকের আগের গোলটার সঙ্গে পরেরটার পার্থক্য বিস্তর। আগেরটা এসেছিল ছয় গজের বক্স থেকে। আর পরেরটা রেকর্ড গড়া, ৪৯ গজ দূর থেকে! তার এই কীর্তিতে স্কটল্যান্ডকে তাদেরই মাঠে ২-০ গোলে হারিয়েছে চেক প্রজাতন্ত্র।

চলতি শতাব্দীতে প্রথমবারের মতো মেজর কোনো টুর্নামেন্ট খেলতে নেমেছিল স্কটল্যান্ড। শেষবার খেলেছিল ১৯৯৮ বিশ্বকাপে। দীর্ঘ ২৩ বছর পর বড় কোনো টুর্নামেন্টে খেলতে নেমেই দলটি পাশে পেয়েছিল ৯ হাজার সমর্থককে, সব মিলিয়ে মাঠে ছিলেন ১২০০০ দর্শক।

ইতিহাস অবশ্য কথা বলছিল স্কটিশদের বিপক্ষেই। আগের চার বারের দেখায় তারা হেরেছিল ৩ বার, আর একটি ম্যাচ শেষ হয়েছিল সাম্যাবস্থায়।

প্রতিপক্ষ গোলমুখে দুই দলই চেষ্টা চালিয়েছে বেশ। মুহুর্মুহু আক্রমণেও ভাঙছিল না সাম্যাবস্থা। ৪২ মিনিটে অবশেষে ব্যবধান গড়ে দেন শিক। তার গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় চেক প্রজাতন্ত্র।

এর দশ মিনিট পর সেই বিখ্যাত গোল। পিছিয়ে পড়া স্কটিশরা তেড়েফুঁড়ে আক্রমণে উঠে গোলের চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তা কেড়ে নিয়ে থমাস সুচেক বাড়ান শিকের কাছে। মধ্যমরেখা পেরোনোর পরই শট করে বসেন আচমকা, আর চমকে যাওয়া গোলরক্ষক ঠেকাতে পারেননি সেটা।

পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৮০ সাল থেকে হিসেব রাখা হচ্ছে এসব তথ্যের। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত এত দূর থেকে গোল আর দেখেনি ইউরো। তার এমন রেকর্ডগড়া পারফর্ম্যান্সের পর দল জিতেছে ২-০ গোলে। ফলে চেক প্রজাতন্ত্র ইংল্যান্ডকে হটিয়ে উঠে এসেছে ইউরোর ‘ডি’ গ্রুপের শীর্ষেও। আগের দিন রাহিম স্টার্লিংয়ের গোলে ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে উঠে গিয়েছিল গ্রুপের চূড়ায়।

নিজেদের পরের ম্যাচে আগামী শুক্রবার চেক প্রজাতন্ত্র মাঠে নামবে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে। পরের দিন ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে স্কটল্যান্ড।

এনইউ