ফুটবল মাঠে দর্শক ঢুকে পড়া নতুন কিছু নয়। ইউরোপিয়ান ফুটবলে তো এমন দৃশ্য অহরহ দেখা যায়। এসব ঝামেলা ঠেকাতে বড় ম্যাচগুলোতে বিদ্যুতায়িত বেড়া থেকে শুরু করে কড়া পুলিশি প্রহরার ব্যবস্থাও করেন আয়োজকরা। তবে রোমানিয়ার চতুর্থ বিভাগের এক ক্লাব একেবারেই ভিন্ন কিছু ভেবেছিল।

বাংলায় বেশ বিখ্যাত একটি প্রবাদ আছে- ‘খাল কেটে কুমির আনা।’ এই প্রবাদের বাস্তবায়ন করার কথা ভেবেছিল স্টুয়া নিকোলা বালচেস্কু। রোমানিয়ার চতুর্থ বিভাগের ক্লাবটি ২০০৩ সালে মাঠে দর্শক ঢুকে পড়া ও দাঙ্গার কারণে লিগ থেকে বহিষ্কারের শঙ্কায় পড়ে যায়। সে সময় অদ্ভুত সমাধান নিয়ে আসেন ক্লাব চেয়ারম্যান আলেকজান্দ্রা ক্রিঙ্গুস।

মাঠের চারপাশে পরিখা বা খাল খননের কথা ভেবেছিলেন ক্রিঙ্গুস। এখানেই শেষ নয়, সেই খাল কুমিরে ভরা থাকবে এমন ইচ্ছেও জানিয়েছিলেন তিনি! এদিকে ফুটবলারদের সুরক্ষার কথাও ভেবে রেখেছিলেন ক্রিঙ্গুস। তার পরিকল্পনা ছিল মাঠ থেকে খানিকটা দূরে খাল তৈরি হবে, যেন সেখানে খেলোয়াড়রা ভুলে গিয়ে পড়ে না যান।

ক্রিঙ্গুস নিজের পরিকল্পনা নিয়ে বলেছিলেন, ‘আমি মজা করছি না। কুমির জোগাড় করা কঠিন কিছু না। কসাইখানা থেকে মাংস এনে ওদের সহজেই খাওয়ানো যাবে। আর আমাদের খাল এতটাই চওড়া হবে, কেউ সেটা লাফিয়ে পার হতে পারবে না। কেউ চেষ্টা করলে কুমিরের সামনে পড়তে হবে। তখন মাঠে দর্শক ঢোকার সমস্যা চিরতরে শেষ হয়ে যাবে।’

কুমিরদের জন্যও ভেবেছিলেন ক্রিঙ্গুস। শীতকালে যেন কুমিরের সমস্যা না হয় তাই বৈদ্যুতিক পাইপ দিয়ে পানি গরম রাখার পরিকল্পনা ছিল। অবশ্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষ শেষ পর্যন্ত এই রোমাঞ্চকর প্রস্তাবকে অনুমতি দেয়নি। ফলে ফুটবল মাঠে কুমিরের খাল দেখার স্বপ্ন আর বাস্তবায়িত হয়নি।

এএল