বুয়েন্স আয়ার্সের এস্তাদিও মনুমেন্টালে আজ (৫ সেপ্টেম্বর) ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলেছেন লিওনেল মেসি। এর মাধ্যমে ঘরের মাঠে ক্যারিয়ারের সম্ভাব্য শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ফেলেছেন তিনি। তার মতো আরও একজন ফুটবলার আর্জেন্টিনার হয়ে ঘরের মাঠে ক্যারিয়ারের সম্ভাব্য শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। তিনি নিকোলাস ওটামেন্ডি।

লিওনেল মেসির চেয়ে বয়সে খুব বেশি ছোট নন ওটামেন্ডি। তাদের বয়সের ব্যবধান মাত্র ৮ মাসের। ইউরোপে খেললেও আর্জেন্টাইন এই সেন্টাল ডিফেন্ডারের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার অনেকটা মেসির পথরেখা ধরেই এগোচ্ছে। ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপের আগে ঘরের মাঠে আর কোন ম্যাচ নেই মেসিদের। বিশ্বকাপে তাকে দেখা যাবে কিনা তা নিয়েও আছে শঙ্কা।

এদিকে ঘরের মাঠে ওটামেন্ডিও শেষ ম্যাচ খেলেছেন। তবে ম্যাচের আগে নয়, ঘোষণাটা ৩-০ গোলে জয়ের পর দিয়েছেন বেনফিকা ডিফেন্ডার। হয়তো মেসির বিদায়ী ম্যাচের আলো নিজের দিকে টানতে চাননি তিনি। যে কারণে নিজ ভক্তদের সামনে, নিজ দেশের ঘাসে-আলো-বাতাসে শেষবার খেলছেন জেনেও চুপ ছিলেন।

ম্যাচ শেষে আর্জেন্টিনার জার্সিতে ১২৬ ম্যাচ খেলা ৩৭ বছর বয়সী ওটামেন্ডি বলেন, ‘আমারও এভাবেই (জয় দিয়ে) শেষ করা দরকার ছিল। এটা আমারও দেশের মাটিতে শেষ ম্যাচ। যারা ম্যাচটি উপভোগ করতে এসেছেন তাদের ধন্যবাদ।’ 

আর্জেন্টিনার জার্সিতে ২০০৯ সালে ওটামেন্ডির অভিষেক হয়। তখন থেকেই আকাশী-সাদা জার্সিতে নিয়মিত মুখ ছিলেন তিনি। যদিও অভিষেকের পর চার বিশ্বকাপের একটি মিস করেছেন। পাঁচটি কোপা আমেরিকা খেলেছেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে কাতার বিশ্বকাপসহ দুটি কোপা আমেরিকা ও একটি ফিনালিজিমা জিতেছেন এই ডিফেন্ডার। 

এএল