বাফুফের ডেডলাইন ৫ আগস্ট
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আধুনিকায়নের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সকল কাজ গুছিয়ে আনলেও ফুটবলের ব্যস্ত সূচির জন্য কাজ শুরু করতে পারছে না। অন্য দিকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না হলে প্রকল্পের টাকা ফেরত যাওয়ার শঙ্কা। এমন পরিস্থিতিতে করণীয় ঠিক করতে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আজ (সোমবার) বিকেলে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সভা করেছেন।
এই সভায় সমস্যা অনেকটা সমাধান হয়েছে। চলমান প্রিমিয়ার লিগ শেষ হওয়ার পর দিন থেকেই বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সংস্কার কাজ শুরু হবে। সভা শেষে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ‘ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে আমাদের সুন্দর সভা হয়েছে। লিগ শেষ হওয়ার পরপরই আমরা কাজ শুরু করব। তারা এতে সম্মত হয়েছেন।’
বিজ্ঞাপন
ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর পাশে বসা কাজী সালাউদ্দিনও এতে সম্মতি দিয়ে বলেন, ‘আমাদের লিগ শেষ ৫ আগস্ট। এর পর দিন থেকেই সংস্কার কাজ শুরু করতে পারবে।’ বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে সংস্কার কাজ শেষ হতে ২০২২ নাগাদ সময় লাগবে। ফুটবলের মূল ভেন্যু বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম। এই বারের লিগ শেষ হলেও সামনে প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ বাফুফের সামনে।
এই প্রসঙ্গে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই ফুটবলও চলুক পাশাপাশি কাজও হোক। খেলাটা কিছু দিনের জন্য স্থগিত না হলে তো কাজ করা যাচ্ছে না। স্টেডিয়ামে মাঠ সহ গ্যালারির আরো অনেক কাজ রয়েছে। আমরা মাঠের কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করার চেষ্টা করব।’ মাঠের কাজ ৫ আগস্ট লিগের পর শুরু করলেও আগামীকাল থেকেই গ্যালারির আরো অন্য কাজগুলো ধীরে ধীরে শুরু হবে।
বিজ্ঞাপন
ফুটবল ফেডারেশন মাঠটি ব্যবহার করলেও রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদই করে থাকে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ফুটবল ফেডারেশনের চাহিদা অনুযায়ীই মাঠের সংস্কার করবে বলে জানান যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী, ‘ড্রেসিংরুম সহ আরো অনেক বিষয় ফুটবল ফেডারেশনের কি চাহিদা, সেটা আমাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে জানাতে বলেছি। তাদের চাহিদা মোতাবেকই আমরা সংস্কার করব।’
এজেড/এটি/টিআইএস