ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন করায় রেগে চলেই গেলেন বেল
ক্যামেরার সামনে থেকে সরে গেলেন গ্যারেথ বেল
দল হেরেছে বড় ব্যবধানে, যেখানে ম্যাচটায় সমানে সমান লড়াই হওয়ার কথা। ডেনমার্কের কাছে ইউরো ২০২০ এর শেষ ষোলয় ৪-০ গোলে হারের পর এমনিতেই মন মেজাজ খারাপ ছিল ওয়েলস অধিনায়ক গ্যারেথ বেলের। এর মধ্যে যখন ম্যাচ পরবর্তী সাক্ষাৎকারে উঠে এল জাতীয় দলে তার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন, তখন রেগেমেগে ক্যামেরার সামনে থেকে চলেই গেলেন তিনি।
প্রশ্নটা নতুন নয়। ৩১ বছর বয়সী বেলকে সদ্যসমাপ্ত ইউরোপিয়ান লিগ মৌসুম শেষেও এ প্রশ্ন করা হয়েছিল, তখন বলেছিলেন এর উত্তর এখনই দিলে দলের মনোযোগ নড়ে যেতে পারে, তাই উত্তরটা তুলে রেখেছিলেন ইউরোর পরের জন্যই। সে ভাবনা থেকেই কিনা, বিবিসির সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করে বসেছিলেন ইউরোয় দলটির এমন হারের পরপরই।
বিজ্ঞাপন
ইউরোর আগে যখন বলেছিলেন টুর্নামেন্ট শেষে জানাবেন তার ভবিষ্যৎ, তখন ধারণাই করা হচ্ছিল, জাতীয় দল থেকে বিদায়ই নিতে চলেছেন তিনি। সে ধারণা থেকেই প্রশ্নটা করা হয়েছিল তাকে। জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, জাতীয় দলে এটাই তার শেষ ম্যাচ কিনা। প্রশ্নটা শুনে মুখভঙ্গিতেও কোনো প্রকার পরিবর্তন হয়নি তার, স্রেফ সরে গেছেন ক্যামেরার সামনে থেকে।
— RouteOneFootball (@Route1futbol) June 26, 2021
ডেনমার্কের কাছে এমন অসহায় আত্মসমর্পণের পর যে দলের সবার মেজাজ খারাপ তার ইঙ্গিতও দিয়ে রেখেছিলেন বেল। বলেছিলেন, ‘ছেলেরা খুবই হতাশ, এমনটাই তো হওয়ার কথা! ওদের মন-মেজাজও খুব খারাপ হয়ে আছে। আমরা একটা দারুণ সুযোগ হারিয়েছি। তবে আমাদের চেষ্টায় কোনোপ্রকার কমতি দেখছি না আমি। ছেলেদের নিয়ে এখনো গর্বই হচ্ছে আমার।’
বিজ্ঞাপন
বেলের মেজাজ আরও তিরিক্ষি করে দিয়েছিল রেফারিং। রিয়াল মাদ্রিদ তারকা জানান, তার মনে হয়েছে যে, রেফারি সমর্থকদের চিৎকারে প্রভাবিত হয়েছিলেন।
এমন মেজাজ খারাপ যখন থাকবে, তখন ভবিষ্যতের প্রশ্নে তো এমন প্রতিক্রিয়া স্বাভাবিকই! ওয়েলস কোচ রবার্ট পেজও বিষয়টাকে দেখছেন এমন ভাবেই, এমন প্রশ্নকে রীতিমতো ‘অবিবেচক প্রশ্ন’ই বলে বসেছেন তিনি। বললেন, ‘আর সবার মতো গ্যারেথও হতাশ। এ অবস্থায় কেন সে তার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্নের জবাব দেবে বলুন? আমার মনে হয় এ খুবই অবিবেচক এক প্রশ্ন ছিল।’
এনইউ