রেফারিং নিয়ে রহমতগঞ্জের অভিযোগ
রহমতগঞ্জ-বারিধারার সেই ম্যাচ/বাফুফে
ঘরোয়া ফুটবলে ফের আলোচনায় এসেছে রেফারিং। গতকাল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে একমাত্র ম্যাচে রহমতগঞ্জ ১-২ গোলে উত্তর বারিধারার কাছে হেরেছে। এই হারের জন্য রেফারিংকে দায়ী করছে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি।
ম্যাচটি ১-১ গোলে সমতা চলছিল। ইনজুরি সময়ে রেফারি বারিধারার পক্ষে পেনাল্টির বাঁশি বাজান। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে বারিধারার উজবেক ফরোয়ার্ড তার সতীর্থের দেয়া ক্রস নির্বিঘ্নে বুক দিয়ে রিসিভ করে ঘুরে শট নেয়ার সময় নিজেই বক্সের মধ্যে পড়ে গেছেন। রহমতগঞ্জের ডিফেন্ডার তাকে সেভাবে বাধা দেননি। এরপরও রেফারি সায়মন সনি এটা ফাউল বিবেচনা করে পেনাল্টির বাশি বাজিয়েছেন। সেই পেনাল্টি থেকে গোলে বারিধারা রহমতগঞ্জকে হারায়।
বিজ্ঞাপন
এই হারে রহমতগঞ্জের অবনমন শঙ্কা জেগে উঠেছে। রহমতগঞ্জের কোচ সৈয়দ গোলাম জিলানী রেফারির সিদ্ধান্তে এতটাই হতবাক যে কড়া সমালোচনা করতে চাইলেও কোড অফ কন্ডাক্টের জন্য করেননি। পুরান ঢাকার ক্লাবটির সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ হামিদ সবুজ বাফুফের নির্বাহী কমিটির সদস্য। ক্লাবের খেলার সময় ডাগ আউটেও থাকেন।
ফেডারেশনের সদস্য হয়েও নিজ ক্লাবের বিরুদ্ধে এমন রেফারিং নিয়ে মন্তব্য করতে বাধ্য হয়েছেন, ‘আমরা তো আর পয়েন্ট ফিরে পাব না। এরপরও ক্লাবের আলোচনার ভিত্তিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এমন রেফারিংয়ের প্রতিবাদের পাশাপাশি অনুরোধও করা হবে ভবিষ্যতে যেন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে অভিজ্ঞ রেফারি দেয়া হয়।’ আজ বুধবার ফেডারেশনে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠিও দেবে রহমতগঞ্জ।
বিজ্ঞাপন
কালকের ম্যাচে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমার দৃষ্টিতে ফাউল হয়নি। পেনাল্টির সিদ্ধান্তটা সঠিক নয়।’ রহমতগঞ্জের কর্মকর্তাদের দাবি, ম্যাচের শুরু থেকেই নানা অসঙ্গতিপূর্ণ আচরণ ছিল রেফারির- এমন কাঁদা মাঠে খেলানো, হঠাৎ খেলা স্থগিত ও শুরু করা আর শেষমেষ পেনাল্টি।
ঘরোয়া ক্রীড়াঙ্গনে রেফারিং,আম্পায়ারিং বিতর্ক,পক্ষপাতিত্ব, সমালোচনা নতুন কিছু নয়। ঘরোয়া ফুটবলে কার্যনির্বাহী কমিটির কেউ নিজ ক্লাবের ম্যাচে ডাগআউটে দাড়ালে রেফারিং পক্ষপাতিত্ব অভিযোগ উঠে বেশি বিপক্ষ দলের। রহমতগঞ্জের ক্ষেত্রে হলো ব্যতিক্রম। নিজেরাই ভুক্তভোগী হয়ে অভিযোগ জানাচ্ছে ফেডারেশনে।
এজেড/এটি