হঠাৎ চলে গেলেন বাফুফের অমিত
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের হেড অফ মিডিয়া আহসান আহমেদ অমিত কয়েক মাস যাবৎ ভারতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভারতের দিল্লিতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অমিত। কিডনি জটিলতায় চিকিৎসা করাতে গেলেও মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ জনিত কারণে তিনি ইন্তেকাল করেছেন বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ থেকে অমিতের সঙ্গে চিকিৎসার সহযোগী হয়ে গিয়েছিলেন নজরুল। ভারত থেকে তিনি অমিতের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, ‘অমিত ভাই আর নেই। উনি আজ কয়েক দফা স্ট্রোক করেছে। শেষ পর্যন্ত তাকে আর বাঁচাতে পারলাম না।’
বিজ্ঞাপন
অমিত ভারত গিয়েছিলেন কিডনি পরিবর্তন করতে। কয়েক দিন আগে সফলভাবে কিডনি পরিবর্তনও করেছেন। দুই দিন যাবৎ অমিতের আপন ভাই স্ট্রোক করে হাসপাতালে আইসিইউতে মুমুর্ষ অবস্থায়। এই সংবাদ শোনার পর থেকে অমিত নিজে কান্নাকাটি করেছেন এবং কয়েক দফা স্ট্রোক করেছেন।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সংশ্লিষ্ট অনেকেই ফরাশগঞ্জের কর্মকর্তা বাবুরামের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন। বাবুরাম অমিত ও তার পরিবারের সাথে খুব ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
আহসান আহমেদ অমিত গত এক দশকে ফুটবল ফেডারেশনের মিডিয়া বিভাগে কর্মরত থাকলেও তিনি একজন ক্রীড়া সংগঠকও। বাংলাদেশ বয়েজ ক্লাবের কর্মকর্তা। ফুটবল ছাড়াও তিনি টেবিল টেনিস, হ্যান্ডবল ডিসিপ্লিনে সংগঠক হিসেবে কাজ করেছেন।
টেবিল টেনিস ফেডারেশনের নির্বাচিত কোষাধ্যক্ষও তিনি। টেবিল টেনিস ফেডারেশনের সহ-সভাপতি খন্দকার হাসান মুনীর বলেন, ‘ভারতে যোগাযোগ করে আমরা নিশ্চিত হয়েছি আমাদের অমিত আর নেই। বাংলাদেশ সময় বিকেল ছয়টার দিকেই তিনি দুনিয়া ছেড়েছেন। আমাদের টেবিল টেনিস পরিবার গভীরভাবে শোকাহত।’
আহসান আহমেদ অমিত গত তিন দশকে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের সাথে জড়িত। ক্রীড়াঙ্গনের অতি পরিচিত মুখ। তৃণমূলের অনেক সংগঠক ও খেলোয়াড়দের সাথে তার ছিল নিবিড় যোগাযোগ। গত এক দশক বাফুফের হেড অফ মিডিয়া হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
এজেড/এমএইচ/এটি