কিংসে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলের অন্যরকম আমেজ
রবসন রবিনহো ও রাউল বেসেরা/ফাইল ছবি
ঘরোয়া ফুটবলে মাঝে এক সময় ছিল শুধু আফ্রিকান খেলোয়াড় নির্ভর। গত তিন চার বছরে পরিস্থিতি বদলেছে। লাতিন আমেরিকার ফুটবলারদের আনছে ক্লাবগুলো৷ বিশেষ করে প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষ দল গত দুই মৌসুমে লাতিন আমেরিকানদের প্রাধান্য দিচ্ছেন।
বাংলাদেশের ক্লাব ফুটবলে একই দলে আর্জেন্টাইন ও ব্রাজিলিয়ানের খেলার ঘটনা বেশ কদাচিৎ। চলতি মৌসুমে কিংসে খেলছেন দুই ব্রাজিলিয়ান ও এক আর্জেন্টাইন। বিশেষ করে আক্রমণভাগ নেতৃত্ব দিচ্ছেন ব্রাজিলিয়ান রবসন রবিনহো ও আর্জেন্টাইন রাউল বেসেরা। চলতি লিগে দুই জনের গোল সংখ্যা ৩১।
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ স্থগিত। তাই কোপা আমেরিকায় মজেছেন তারা। নিজেদের দেশ নিয়ে বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে উদ্দীপনা মুগ্ধ করেছে তাদের দু'জনকেই, ‘আমরা আসলে খুবই অভিভূত। বাংলাদেশের মানুষ লাতিন আমেরিকার দুই দেশের ফুটবলকে এত ভালোবাসে। বাংলাদেশে না আসলে সেটা বোঝার উপায় ছিল না। কিংসকে ধন্যবাদ আমাদেরকে খেলার আমন্ত্রণ জানানোয়।’
রাউল ও রবসন ক্লাব টেন্টের বাইরে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকাতে আলাদা ফ্ল্যাটে থাকেন। মাঠে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার মধ্যে তুমুল দ্বৈরথ থাকলেও কিংসে রবসন ও রাউলের বন্ধুত্ব দারুণ, ‘আমরা একে অপরের ভালো বন্ধু হয়েছি। নিজে গোল না করে গোল করাতেও আমরা আনন্দ পাই।’ -বলেন দুজন।
বিজ্ঞাপন
মাঠ ও মাঠের বাইরে দুজনের বন্ধুত্ব দুর্দান্ত থাকলেও আগামী তিন দিন একে অন্যের প্রতিদ্বন্দ্বী। আর্জেন্টাইন রাউল চান তার দলের হাতে শিরোপা উঠুক, ‘লাতিন আমেরিকার সেরা ২ দেশ ফাইনালে উঠেছে। আর্জেন্টিনা ফাইনালেও সেরাটা দিয়ে কাপ জিতবে আশা করি।’ ব্রাজিলিয়ান রবসনের কন্ঠেও দৃঢ় সুর, ‘ব্রাজিল স্বাগতিক হিসেবে ভালোই খেলছে। এখন শুধু কাপের অপেক্ষা।’
আর্জেন্টিনার বর্তমান দলের কারো সাথে খেলার অভিজ্ঞতা নেই রাউলের। তবে ব্রাজিলিয়ান রবসন এই দলের কয়েকজনের বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। রাউল ও রবসনের মধ্যে কিংস ও ফুটবল নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি নিজ দেশ নিয়ে খুনসুটিও চলে। বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীরা যেখানে উন্মাদনায় হাতাহাতি মারামারি ও প্রাণ হারান। সেখানে সেই দুই দেশের ফুটবলারদের দর্শন, ‘আমরা দিন শেষে বুঝি এটা ফুটবল, এর বেশি কিছু নয়।’
এজেড/এটি/এনইউ