ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে বসুন্ধরা কিংস!
মালদ্বীপে এএফসি কাপের মূল পর্ব খেলতে বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হবে বসুন্ধরা কিংস। ঠিক সেই মুহূর্তে স্বাগতিক মালদ্বীপ ও এএফসি জানায় অনিবার্য কারণে খেলা স্থগিত। সেই সময় খেলা না হওয়ায় বিমান টিকিট ও হোটেল বুকিংয়ে অনেক অর্থ খরচ হয়েছিল বসুন্ধরার।
এমন ঘটনার পর বসুন্ধরা কিংস এএফসির কাছে কড়া ভাষায় চিঠি দিয়ে নিজেদের চ্যাম্পিয়ন দাবি করার পাশাপাশি আর্থিক ক্ষতিপূরণের বিষয়টি জানিয়েছিল। সেই চিঠির মাস দুয়েক পর কিছুটা প্রতিক্রিয়া হয়েছে। এএফসি বসুন্ধরার কাছে তাদের মালদ্বীপ সফরের খরচের বিষয়াদি জানতে চেয়েছে বলে জানিয়েছেন বসুন্ধরা কিংসের কর্মকর্তারা।
বিজ্ঞাপন
বসুন্ধরা বিমান টিকিট, হোটেল ভাড়ার খরচাদির কাগজপত্র এএফসিকে দিয়েছে। সব মিলিয়ে বসুন্ধরার সেই যাত্রায় অর্ধ কোটি টাকার মতো খরচ হয়েছিল। এএফসি কতটুকু ক্ষতিপূরণ দেয় সেটি এখন দেখার বিষয়।
বসুন্ধরা প্রিমিয়ার ফুটবল খেলছে মাত্র বছর তিনেক। আর আন্তর্জাতিক ফুটবলে মাত্র বছর দুই। এত স্বল্প সময়ের মধ্যে বসুন্ধরা কিংস আন্তর্জাতিক ফুটবলে নিজেদের শক্ত অবস্থান জানান দিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
মালদ্বীপে টুর্নামেন্ট স্থগিত হওয়ার পর পুনরায় এএফসি জুনে এএফসি কাপের দক্ষিণ জোনের খেলা দেয়। বসুন্ধরা ফিরতি চিঠি দেয়, সেই চিঠির প্রেক্ষিতে আবার এএফসি কাপের সূচি পরিবর্তন হয়। বর্তমান সূচিতে খেলা হবে আগস্টের শেষ সপ্তাহে।
বসুন্ধরা এবার সিলেটে স্বাগতিক হতে চায়। ৫ জুলাই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদনও করেছিল। এর প্রেক্ষিতে এএফসি ১৪ জুলাইয়ের মধ্যে সরকারের অনুমতি নিয়ে পুনরায় চিঠি দিতে বলেছিল ফেডারেশন। লকডাউন ও পারিপার্শ্বিক কারণে সেই ডেডলাইনের মধ্যে চিঠি দিতে না পারায় বসুন্ধরা কিংসের স্বাগতিক হওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। এই গ্রুপের অন্যতম দল মালদ্বীপের মাজিয়া অবশ্য ১৪ জুলাইয়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজ দিয়েছে। ভারতের অ্যাথলেটিকো মোহনবাগান স্বাগতিক হওয়ার আবেদন করেনি।
বসুন্ধরা ও বাফুফে ১৪ জুলাইয়ের মধ্যে কাগজপত্র দিতে ব্যর্থ হওয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে বৈধ স্বাগতিক হওয়ার প্রার্থী মালদ্বীপের ক্লাব। মালদ্বীপের আগের ইতিহাস সুখকর নয়। করোনা পরিস্থিতিতে এএফসি কাপের ডি গ্রুপের খেলা বাতিল হলে অবাক হবার থাকবে না। গত বছর বসুন্ধরা কিংস এএফসি কাপের মাত্র একটি ম্যাচ খেলেছিল। এরপর করোনায় পুরো টুর্নামেন্ট স্থগিত হয়।
এজেড/এটি/টিআইএস