ঘরোয়া ফুটবল ও পাতানো ম্যাচ যেন অনেকটা সমার্থক শব্দ। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের খেলায় পাতানো ম্যাচের অভিযোগ উঠতো আগে হরহামেশা। গণমাধ্যমে প্রতিবেদন, এএফসির তদারকিতে প্রিমিয়ার লিগে কমলেও চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ ও জুনিয়র ডিভিশনগুলোতে সমঝোতা, পাতানো ম্যাচের অভিযোগ রয়েছে বিস্তর।
 
সদ্য সমাপ্ত বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে বেশ কয়েকটি ম্যাচ নিয়ে পাতানোর অভিযোগ উঠেছে। গণমাধ্যমে মাঝেমধ্যে অভিযোগ ও সন্দেহ পোষণ করে রিপোর্ট হয়েছে। বাফুফে সেই রিপোর্ট আমলে নিয়ে চারটি ক্লাবকে চিঠি দিয়েছে। সেই চারটি ক্লাব হলো কাওরান বাজার, ঢাকা ওয়ান্ডারার্স, স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ ও ঢাকা সিটি এফসি। 

স্বাধীনতা সংঘ বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। বাফুফে ইতোমধ্যে তাদের ট্রফিও দিয়েছে। স্বাধীনতাকে নিয়ে অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রিমিয়ার লিগে খেলবে কোন দল এ নিয়ে নতুন সংকট তৈরি হবে।

এদিকে ফর্টিজ ক্লাব বাফুফেকে এক পৃথক চিঠি দিয়েছে পাতানো ম্যাচের অভিযোগ জানিয়ে। তাদেরও সন্দেহের তীর স্বাধীনতার দুইটি ম্যাচ ঘিরে। বাফুফে অবশ্য ফর্টিজের চিঠির চেয়ে মাঝেমধ্যে হওয়া রিপোর্টকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে চার ক্লাবকে তলব করেছে। 

এবার হঠাৎ চারটি ক্লাবকে পাতানো ম্যাচের চিঠি দেওয়াটা ফুটবল সংশ্লিষ্ট অনেকের কাছে রহস্যাবৃত। কেউ কেউ আবার এখানে স্বজনপ্রীতির গন্ধ খুঁজছেন। তদন্ত শেষ ও ফলাফল না পাওয়া পর্যন্ত অবশ্য কিছু বলা যাচ্ছে না।
 
কয়েক মাস আগে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে আরামবাগ ও ব্রাদার্স ইউনিয়নের কয়েকটি ম্যাচ নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল। এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন স্বয়ং বাফুফেকে ম্যাচগুলো তদন্তের নির্দেশন দিয়েছিল। বাফুফের নির্বাহী কমিটি নতুন করে পাতানো খেলা শনাক্তকরণ কমিটি গঠন করে। সেই কমিটি ইতোমধ্যে কয়েকটি সভা করলেও ওই ম্যাচগুলোর বিষয়ে এখনো পূর্ণাঙ্গ সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি। 

এএফসির নির্দেশনা অনুযায়ী বাফুফে পাতানো ম্যাচের পরিপূর্ণ সিদ্ধান্ত হওয়ার আগে মিডিয়ায় কোনো বক্তব্য দিতে পারছে না। তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ব্রাদার্স ও আরামবাগের ইস্যুতে প্রায় ৭৫-৮০ শতাংশ তদন্ত সম্পন্ন।  সূক্ষ তদন্তের জন্য দুই পক্ষকে সশরীরে জেরা করা প্রয়োজন। লকডাউনের জন্য সেটা দেরি হচ্ছে।
 
এজেড/এমএইচ