ইউনাইটেডের একমাত্র গোলটি আসে মেসন গ্রিনউডের পা থেকে/এপি

উলভারহ্যাম্পটনের মাঠে প্রথমার্ধের পারফর্ম্যান্স ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে কিছুটা চোখরাঙানিই দিচ্ছিল। তবে দ্বিতীয়ার্ধে সেটা সামলে নিয়ে ১-০ গোলের জয় তুলে নিয়েছে কোচ ওলে গুনার সোলশায়ারের দল। তাতে একটা অনন্য রেকর্ড গড়ে মহাতারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে বরণ করে নেওয়ার প্রস্তুতি সেরে রাখল দলটি।

প্রতিপক্ষের মাঠে টানা সবচেয়ে বেশি ম্যাচে অপরাজিত থাকার রেকর্ডটা এতদিন ছিল আর্সেনালের দখলে। ২০০৩ সালের এপ্রিল থেকে ২০০৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রতিপক্ষের ডেরায় না হেরে এই রেকর্ডটা গড়েছিল কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গারের শিষ্যরা। সেই রেকর্ডে কোচ সোলশায়ারের দল অবশ্য আগেই ভাগ বসিয়েছিল। এদিন কোনোক্রমে হারটা ঠেকাতে পারলেই সেটা নিজেদের হয়ে যেত রেড ডেভিলদের। সেই রেকর্ডটা কি দারুণভাবেই না ছাপিয়ে গেল ইউনাইটেড!

অবশ্য রেকর্ড নয়, জয়ে ফেরার লক্ষ্যেই ইউনাইটেড নেমেছিল মাঠে। তবে সমর্থকদের ভাবনার পুরোটা জুড়ে ছিলেন রোনালদোই। তিনি মাঠে ছিলেন না, তবে গ্যালারিতে ছিল রোনালদো রোনালদো রব, আর অগুণতি প্ল্যাকার্ড। 

রোনালদো না থাকলেও মাঠে রোনালদোর সাবেক সতীর্থের অভিষেক হলো এদিন। রাফায়েল ভারান প্রথমবারের মতো নেমেছিলেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে।

তবে ম্যাচে ছিল স্বাগতিকদেরই দাপট। ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে তো এগিয়ে যেতে পারত উলভসরা। সে যাত্রায় ইউনাইটেডকে রক্ষা করেন ডেভিড ডি হেয়া। আদামা ত্রাওরে পাস থেকে রাউল হিমেনেজের দারুণ এক শট ঠেকিয়ে দেন তিনি। এর মিনিট তিনেক পর বার্সেলোনা থেকে ধারে উলভসে আসা ফ্রান্সেসকো ত্রিঙ্কাওয়ের শটটা গোলরেখা থেকে ফেরান অ্যারন ওয়ান বিসাকা। এরপর ত্রাওরের দূরপাল্লার শট ঠেকিয়ে দেন ইউনাইটেড গোলরক্ষক। 

প্রথমার্ধের প্রায় পুরোটা সময়ই ইউনাইটেড আক্রমণভাগ ছিল বেশ বিবর্ণ। ৩৮ মিনিটে যাও বলটা জালে জড়িয়েছিলেন পল পগবা, সেটাও বাতিল হয় অফসাইডের খড়গে। ফলে লক্ষ্যে একটিও শট না নিয়ে বিরতিতে যায় ইউনাইটেড। 

বিরতির পরও গোল হজমের শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল লাল শয়তানরা। যদি না ত্রিঙ্কাও সহজ সুযোগ হাতছাড়া করতেন। ৭০ মিনিটে আবারও জোড়া সেভ ডি হেয়ার, তাতে আবারও রক্ষা পায় সফরকারী দলটি।

সময় যত গড়াচ্ছিল, ইউনাইটেড শিবিরে ততই বাড়ছিল পয়েন্ট খোয়ানোর শঙ্কা। ৮০ মিনিটে অবশেষে সে শঙ্কা থেকে দলকে মুক্ত করেন মেসন গ্রিনউড। ১-০ গোলের জয় পায় ইউনাইটেড। 

এর ফলে দুই জয় আর এক ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার তিনে উঠে এসেছে দলটি। সমান পয়েন্ট নিয়েও দুইয়ে আছে ওয়েস্টহ্যাম। চারে আর পাঁচে থাকা চেলসি আর লিভারপুলও ঝুলিতে পুরেছে সমান সাত পয়েন্ট। দিনের আরেক ম্যাচে ওয়াটফোর্ডকে ১-০ হারিয়েছে টটেনহ্যাম। তাতে দলটি ৯ পয়েন্ট নিয়ে উঠে এসেছে তালিকার শীর্ষেও।

এনইউ/এটি