বাদলের মতো ক্লাবের দুঃসময়ে ফিরলেন টুটুলও
দেশের অন্যতম কিংবদন্তি ফুটবলার হলেও এক পর্যায়ে ক্রিকেট সংগঠক এবং রাজনীতিবিদ পরিচয় বড় হয়ে উঠেছিল দেওয়ান সফিউল আরেফিন টুটুলের। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক প্রভাবশালী কর্মকর্তা টুটুল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন বেশ কয়েক বছর।
ফুটবলার থাকাবস্থাতেই কলাবাগান ক্রিকেট দল গঠনে রেখেছিলেন বড় ভূমিকা। ফুটবল ছাড়ার পর সংগঠক হিসেবে নিজেকে ক্রিকেটেই প্রতিষ্ঠিত করেন। এক সময় ক্রীড়াঙ্গনে অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তি হলেও গত কয়েক বছর ক্রীড়া-রাজনীতির মেরুকরণ এবং ব্যক্তিগত কারণে ক্রীড়াঙ্গন থেকে একটু দূরে ছিলেন টুটুল।
তার পাড়ার ক্লাব কলাবাগানের প্রয়োজনে আবার ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত হয়েছেন। ২০১৯ সালে মতিঝিল পাড়ার ক্লাবগুলোর মতো কলাবাগানেও ক্যাসিনো কাণ্ডে প্রভাব পড়েছিল। ক্যাসিনো কান্ডে ক্লাবের সাংগঠনিক সংকট তৈরি হয়। কমিটিও মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে।
২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের সাধারণ পরিষদের সভায় একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে। এই আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক মনোনীত হয়েছেন জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত ক্রীড়াবিদ এবং বিশিষ্ট সংগঠক দেওয়ান সফিউল আরেফিন টুটুল। সদস্য সচিব মনোনীত হয়েছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু।
বিজ্ঞাপন
আবার ক্রীড়াঙ্গনে ও কলাবাগানে ফেরা প্রসঙ্গে টুটুল বলেন, ‘কলাবাগানের সাথে আমার আত্মিক সম্পর্ক। কিছু সময় ক্লাবের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলাম না। ক্যাসিনো কাণ্ড পরবর্তী সময়ে ক্লাবের দুঃসময় চলছিল। সবার অনুরোধ ও সামগ্রিক প্রয়োজনে আবার ক্লাবের দায়িত্বে নিজেকে সম্পৃক্ত করলাম।’
ক্যাসিনো কাণ্ডের পর মোহামেডানেও হাল ধরার মতো কেউ ছিল না। দেশবরেণ্য ক্রীড়া সংগঠক ও ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব প্রয়াত বাদল রায় অসুস্থ অবস্থায় তার শেকড় মোহামেডান ক্লাবের হাল ধরেছিলেন। অস্তিত্বের সংকটে থাকা মোহামেডান বাদল রায়ের নেতৃত্বেই মূলত ঘুরে দাঁড়ায়।
বিজ্ঞাপন
টুটুল অত্যন্ত দক্ষ এবং অভিজ্ঞ ক্রীড়া সংগঠক তার সাংগঠনিক ক্যারিয়ার যাত্রার আতুঁড়ঘর কলাবাগান ক্রীড়া চক্র। বাদলের মতো তিনিও ক্লাবের দুঃসময়ে আবার দায়িত্ব নিলেন।
এজেড/এমএইচ