ভারত কোচ ইগর স্টিমাচ/ফাইল ছবি

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে অলিখিত ফেভারিট ভারত। ১২ বারের মধ্যে ১১ বারই ফাইনাল খেলেছে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বেশি জনবহুল দেশটি। প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ ৭ বারের চ্যাম্পিয়নও তারা। 

এক আসর পরপর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কৃতিত্ব তাদের। গত আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মালদ্বীপ। পরিসংখ্যান ও রেকর্ড অনুযায়ী এই আসরে শিরোপার জন্য ফেভারিট ভারতই। এই রেকর্ড ভারতকে বাড়তি চাপ দিচ্ছে কিনা এই প্রশ্নের উত্তরে ভারতের ক্রোয়াট কোচ ইগর স্টিমাচ বলেন, ‘আমরা এখানে ভালো কিছুর জন্যই এসেছি। পাশাপাশি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের প্রস্তুতিও হবে।’ 

এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের প্রস্তুতি শুরু হবে আগামী বছর থেকে। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের প্রস্তুতি হিসেবে সাফকে দেখায় একটু গুরুত্ব কম দেয়া হচ্ছে কিনা এই প্রশ্নের উত্তরে ইগর স্টিমাচ বলেন, ‘আমি এটাকে কম গুরুত্ব দিচ্ছি না। অংশগ্রহণকারী সকল দলকে সম্মান প্রদর্শন করছি। আমরা এই টুর্নামেন্টের অনেক বারের চ্যাম্পিয়ন, এই বারও চাইব চ্যাম্পিয়ন হতে।’

ইনজুরির জন্য ভারতীয় দলের দুই গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার আশিক কুরাইনি, সন্দীপ জিঙ্গান এই স্কোয়াডে নেই। এরপরও বর্তমান স্কোয়াডকে সেরা বলছেন তিনি, ‘এখন যে দল আছে সেটাকেই আমি সেরা বলব।’

কিছু দিন আগে মোহনবাগানের ফুটবলাররা মালেতে এএফসি কাপ খেলেছেন। জাতীয় দলে মোহনবাগানের কয়েকজন ফুটবলার আছেন। মোহনবাগানের ফুটবলারদের মালেতে খেলে যাওয়া খানিকটা ইতিবাচক মনে করছেন কোচ, ‘এটা আমাদের জন্য ভালো দিক। সেই ফুটবলাররা এখানকার পরিবেশ পরিস্থিতির সঙ্গে পরিচিত।’

বাংলাদেশ ফুটবল দলেও বসুন্ধরা কিংসের খেলোয়াড় অনেক। তারাও কিছু দিন আগে এএফসি কাপে খেলেছে। বসুন্ধরা কিংসের কোচ অস্কার এবার বাংলাদেশের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বাংলাদেশের কোচ হয়ে বেশ আশাবাদী। তবে কিছু দিনের মধ্যেই অস্কার বাস্তবতায় ফিরে যাবেন বলে মন্তব্য করেন, ‘ক্লাবে বিদেশি ফুটবলার ছিল তার। জাতীয় দলের অবস্থা ভিন্ন। অচিরেই তিনি বাস্তবতায় ফিরবেন।’

২০১৯ সালে ভারতের সল্টলেকে বাংলাদেশ ১-১ গোলে ড্র করেছিল। সর্বশেষ ম্যাচে ভারত ২-০ গোলে হারিয়েছিল। আগামীকাল ম্যাচে ভারতের প্রত্যাশা সম্পর্কে বলেন, ‘প্রতি ম্যাচের পরিস্থিতি ভিন্ন। এই ম্যাচেও ভালো কিছু হবে।’

এজেড/এনইউ