চুরি-স্বজনপ্রীতির সম্ভাবনা উড়িয়ে দিলেন সালাউদ্দিন
ছবি : ঢাকা পোস্ট
বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে প্রতিভা অন্বেষণ মানেই বয়স চুরি, স্বজনপ্রীতির অভিযোগ। শনিবার, (৩০ জানুয়ারি) থেকে শুরু হওয়া বাফুফের প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচি বিতর্কের উর্ধ্বে রাখার ঘোষণা দিলেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, ‘যারা মেধাবী শুধুমাত্র তারাই বাছাই হবে। এখানে কারো অনুরোধ, ইচ্ছে-অনিচ্ছা বিবেচ্য না। কোচরা স্বাধীন, কোচরা যাদের ভালো মনে করবে তাদের বাছাই করবেন।’
বাফুফে ৬৪ জেলায় প্রতিভা অন্বেষণ করবে। ঢাকা জেলা দিয়ে উদ্বোধন হলো। উদ্বোধনী দিনে প্রায় ৩৫০ ফুটবলার দিলেন পরীক্ষা। ৩৫০ ক্ষুদে ফুটবলারের সামনে কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ‘যারা এখান থেকে নির্বাচিত হতে তাদের শুভ কামনা। যারা নির্বাচিত হতে পারবে না তারা দুঃখ পেও না। অনুশীলন চালিয়ে যাবে। ফুটবলার হতে হলে তিনটি জিনিস প্রয়োজন। এক নম্বরে অনুশীলন, দুই নম্বর অনুশীলন। তৃতীয় নম্বরেও অনুশীলন।’
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশের ফুটবলের উন্মুক্ত ট্রায়ালে সাধারণত নিম্ম ও নিম্ম মধ্যবিত্ত পরিবারের ফুটবলাররা আসেন। ঢাকা জেলার ট্রায়ালে ইংলিশ মিডিয়াম ও দেশের শীষস্থানীয় স্কুলের কয়েকজন বালককে দেখা গেছে। বাংলাদেশের ফুটবলে শিক্ষিত ফুটবলার খুব কম। ভালো স্কুলে পড়াশোনারত ও ভালো পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড থাকলেও মেধাবী ফুটবলার বাছাইয়ের পক্ষে কাজী সালাউদ্দিন, ‘যাদের ফুটবল মেধা রয়েছে তারাই টিকবে। অন্য কোনো কিছু বিবেচ্য নয়।’
জেলা, বিভাগ ও পরবর্তীতে চূড়ান্ত পর্যায়ে যারা বাছাই হবেন তারা বাফুফের কমলাপুর স্টেডিয়ামের আবাসিক ক্যাম্পে জায়গা পাবেন। এর আগে বাফুফে সিলেট একাডেমি ও ফোর্টিজ একাডেমি করলেও সেগুলো ঠিক মতো চলেনি। কমলাপুরের আবাসিক ক্যাম্প চলবে এর নিশ্চয়তা কি? এ প্রশ্নের উত্তরে বাফুফে সভাপতি বলেন, ‘আগে আমাদের আর্থিক সমস্যা ছিল। এজন্য আমরা সিলেট একাডেমি কিছু দিন চালিয়ে বন্ধ করতে বাধ্য হই। আমাদের আর্থিক সংস্থান হয়েছে কমলাপুরের একাডেমি চলবে। আমরা সরকারের কাছে আশা করি এই ব্যাপারে সহায়তা পাব।’
বিজ্ঞাপন
বাফুফে সহ-সভাপতি ও ডেভলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ভূইয়া মানিক বলেন, ‘যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি। সরকার আমাদের সহায়তা করবে আশা করি। সরকারের সহায়তার পাশাপাশি আমরা নিজেরাও আর্থিক বিষয়ে কাজ করছি।’
বাফুফে প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচি অ-১৫ ভিত্তিক। ১ জানুয়ারি ২০০৬ সালে যাদের জন্ম তারা এই ট্রায়ালে যোগ্য। অনেক ফুটবলার এসেছেন ১৭-১৮ বছর বয়সী। এদের অনেকেই বাদ দিয়েছে বাফুফের কোচিং স্টাফ। অনুর্ধ্ব ১৫’র বদলে আরো নিচ থেকে প্রতিভা অন্বেষণ করা যেত কিনা এই প্রশ্নের উত্তরে ডেভলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা আছে আরো দুই পর্যায়ে প্রতিভা অন্বেষণ করার।’
এজেড/এটি